
অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে আরো অবদান রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড সরকারি নীতি নির্ধারণ, জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে আরো সম্প্রসারণ ও গতিশীল করতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ডেলিভারিং কনফিডেন্স ইন কনস্ট্রাকশান এন্ড দ্যা বিল্ট এনভারনমেন্ট।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সকলের জন্য নিরপদ আবাসন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, নিরাপদ আবাসন এবং পরিবেশ সুরক্ষাসহ জাতীয় ভৌত অবকাঠামো তৈরিতে নির্মাণ শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডিজিটালাইজেশনের ফলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এ শিল্পের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। নির্মাণ ভাবনা ও নির্মাণ শৈলীতে পরিবর্তন এসেছে। ভারসাম্য ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্মাণ পরিকল্পনায় নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সক্রিয় বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কারিগরি বাণিজ্য বাধা অপসারণের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। অ্যাক্রেডিটেশন নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, পরিবেশ রক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজে সহায়তা করে থাকে। বিশ্বায়নের ফলে সৃষ্ট সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার রপ্তানি বৃদ্ধিতে অ্যাক্রেডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাণীতে শখ হাসিনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৯ জুন ২০১৭ ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডসহ সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সুবিধাভোগীদের শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে তিনি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।