
আগামী বছর তিন ঘণ্টায় পানি নামবে, আশা মন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী বছর থেকে আর জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না। তিন ঘণ্টার মধ্যেই সব পানি নেমে যাবে।
তবে বিষয়টি সোজাসুজি অসম্ভব বলে মনে করছেন বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক ম ইনামুল হক।
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অবশ্য বলছেন, এত বৃষ্টি হওয়ার পরও গতকাল বুধবার তিন ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যাওয়ায় বোঝা যায় ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আগে কখনো এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি বলে ঢাকার পানি নিরসনের জন্য দীর্ঘ কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। এখন পরিস্থিতি বিবেচনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ওই অনুষ্ঠানে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এবারের বৃষ্টি ছিল নজিরবিহীন। কখনোই সচিবালয়ের ভেতরে এত পানি জমে থাকতে দেখিনি। তবে এত বৃষ্টি হওয়ার পর তিন ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে গেছে। তাতে বোঝা যায়, ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে জনগণকে সচেতন হতে হবে। ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ফেলা যাবে না।’
২৯ ও ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২৭টি দেশ এতে অংশ নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
সোজাসুজি অসম্ভব: ম ইনামুল হক
তিন ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যাবে বলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী যে আশাবাদের কথা বলেছেন, সে বিষয়টি সোজাসুজি অসম্ভব বলে মনে করছেন ম ইনামুল হক। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য আগে যেসব খাল ছিল, সেগুলো ভরাট করে ঘরবাড়ি-দালান করা হয়েছে। রাস্তা হয়েছে। এগুলো খাসজমি, যা কিনা ইজারা বা দালান করা বা ভরাট করার কথা নয়। ওয়াসা খালের পথ ধরে নয়, রাস্তা ধরে কালভার্ট অথবা পাইপ ড্রেনেজ নির্মাণ করেছে। এসব ড্রেন সোজাসুজি পথে যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে আগের খালগুলো দখল ও ভরাটমুক্ত করে, ঠিকমতো নকশা করে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ করতে বেশ কয়েক বছর লাগবে। আর ওয়াসা বা সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে তা বিগত আট বছরে হয়নি। আগামী কোনো দিনই হবে না। বরং সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।