
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
জাগ্রতবাংলা ২৪ ডককম: আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে প্রথমবারের মত বাঙালি জাতি গর্জে ওঠেছিল শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে। মনস্থির করেছিল যুদ্ধে যাবার; স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন একটি জাতীয় সংগীত ও একটি লাল সবুজের পতাকা ‘বাংলাদেশ’।
বাঙালি জাতি সেই পতাকা আর জাতীয় সংগীতে আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে সকল শহীদদের, যারা তাজা রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীন বাংলাদেশকে। শোষণ ও নির্যাতনমুক্ত করেছে এ বাঙালি জাতিকে। জাতি ভেদাভেদ বা ধর্মান্ধতার মতো কালো ছায়া ভুখণ্ড করেছে।
বিতর্ক পেছনে ফেলে আজ সারাদেশ মেতে উঠবে স্বাধীনতা উৎসবের আমেজে। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠ ভেসে উঠবে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাতীয় সংগীত উৎসবে কণ্ঠ মেলানোর জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও গভীর শ্রদ্ধায় পালন করতে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো নিয়েছে নানা কর্মসূচি।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আজ থাকছে সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিকে এবারের স্বাধীনতা উৎসবে ভিন্ন আমেজ যুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবি। এরই মধ্যে কাদের মোল্লার রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ বিচার প্রক্রিয়া।
১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। নির্বিচারে হত্যা করে লাখো প্রাণ। কেড়ে নেয়া হয় মা বোনের ইজ্জত। আসে স্বাধীনতার ঘোষণা। পাক সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের আগ মুহূর্তে দেয়া ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু পাক সেনাদের এই বাংলার মাটি থেকে বিতারিত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান।
২৫ মার্চ দিনগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামে স্বাধীনতার বার্তা পৌঁছানোর পর ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র তা ঘোষণা করেন। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার আরেকটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলার নিভৃত এক আমবাগানে শপথ নেয় স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকার। এই আমবাগানকেই পরে বাংলাদেশের মুজিবনগর নামে বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
পরে নয় মাসব্যাপী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পায় বাংলাদেশ নামের এক স্বাধীন রাষ্ট্র। শুরু হয় নতুন দিগন্তের পথ চলা।
S/N