
আশুলিয়ার ৪ ‘জঙ্গির’ পরিচয় মিলেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারের আশুলিয়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ির ভেতর থেকে ধরা দেওয়া সন্দেহভাজন চার জঙ্গির পরিচয় জেনেছে র্যাব। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে সন্দেহভাজন আস্তানা থেকে প্রথমে দুজন, পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে আরো দুজন বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাদেরকে নিজ হেফাজতে নেয় র্যাব।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত ১টা থেকে আশুলিয়ার নয়ারহাট চৌরাবালি এলাকার ইব্রাহিমের মালিকানাধীন ওই একতলা বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘেরাও করে র্যাব-৪ এর সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিক ইব্রাহিমকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে একজন দলনেতা হিসেবে কাজ করছেন। তার নাম মোজাম্মেল হক। বাকি তিনজন হলেন-রাশেদুন্নবী, ইরফানুল ইসলাম এবং আলমগীর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- তারা সরোয়ার-তানিম গ্রুপের সদস্য।
প্রাথমিকভাবে আটক চারজন এই তথ্য জানালেও তাদের কাছ থেকে জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার আশা করছে র্যাব। এজন্য তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, যাদেরকে আমরা ধরেছি তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, আটক চারজন গত মাসের দিকে পোশাক শ্রমিক পরিচয়ে মাসে আড়াই হাজার টাকায় বাড়িটি ভাড়া নেয়। এ সময় তারা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেননি। বাড়ির মালিকও তাদেরকে পোশাক শ্রমিক ভেবে বিষয়টি নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেননি।
এই অভিযানকে রক্তপাতহীন করবে র্যাব আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে বলেও জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক। তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম মিনিমাম বল প্রয়োগ করে তাদের ধরতে। এজন্য সময় নিয়েছিলাম। প্রথমে একজন আত্মসমর্পণ করেছে। তার মাধ্যমেই আমরা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
তিনি বলেন, গত রাতে আমরা বাড়িটি ঘেরাও করলেও সবাইকে জীবিত ধরার চেষ্টা করেছি বলেই আমরা অভিযানে যাইনি। তারপরও দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আমরা সতর্কতার জন্য ফায়ার করেছি। তারপর তারা সবাই আত্মসমর্পণ করেছে। কারণ পালানোর কোনো অপশন ছিল না।
এই আস্তানায় আর কেউ ভেতরে আছে কি না- জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, চারজনকেই গ্রেপ্তার করা গেছে। এর বাইরে আর কেউ নেই। চারজন ধরা দিলেও অভিযানটা এখনও শেষ হয়নি বলেও বেলা দুইটার দিকে জানান মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ভেতরে এখনও বিস্ফোরক রয়ে গেছে। সেগুলো অপসারণ করতে হবে।