ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ছাত্রীসহ ৫জনকে পিটিয়েছে বখাটেরা

ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ছাত্রীসহ ৫জনকে পিটিয়েছে বখাটেরা

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর জামাই মেলায় ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। বৃহস্পতিবার(২৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রসুলপুর বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামাই মেলায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা কালিহাতী উপজেলার পৌলী গ্রামের সাবচানের মেয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী জেরিন আক্তার (১৪), জিন্নত আলীর ছেলে মাজেদুর মিয়া (২২), মৃত জহু মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া (২১), দুলাল মিয়ার ছেলে হাবিব(২০) ও মজনু মিয়ার ছেলে সুজন ড্রাইভার (২২)।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার পৌলি এলাকার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী রসুলপুর বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে লিমন (১৮) তাকে কটু কথা বললে মাজেদুর ও চাঁন মিয়া এর প্রতিবাদ করে। পরে লিমন ঊদ্ধত হয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসে। ছাত্রী জেরিন বখাটে লিমনকে বাধা দিলে এক পর্যায়ে লিমন লাঠি এনে জেরিনসহ তাদের তিন জনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। লাঠির আঘাতে জেরিনের কান কেটে ও মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জেরিন আক্তার বলেন, আমি পরীক্ষা শেষে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় লিমন আমাকে কটু কথা বললে মাজেদুর, চাঁন মিয়া ও হাবিব প্রতিবাদ  করে। পরে রসুলপুর-পারচর এলাকার হাসমতের ছেলে মহসিন (১৮) সহ তার সাথে থাকা লিমন (২২), আলামিন(১৭), রুবেল(১৯), জাহিদ(২০), সাইফুল(১৯), সোহাগ(১৭), মিলন(১৮), সোহাগ(১৭) প্রতিবাদকারীদের মারতে গেলে আমি বাধা দিলে তারা আমাকেসহ সবাইকে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। পরে আশেপাশের লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতলে নিয়ে আসে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌলী এলাকায় চরম উত্তজনা বিরাজ করছে। এছাড়া এলাকার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছে আহতদের পরিবার।