
ফাইল ছবি
উচ্ছেদ নয়, ঝুঁকিপূর্ণ জীবন থেকে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে উদ্ধার করতে হবে: কাদের
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের লালখান বাজার, মতিঝর্ণা ও বাটালি হিলসহ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে কোনো পলিটিক্যাল প্রভাব সহ্য করা হবে না। “লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের ব্যাপার। ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উদ্ধার করার সময় কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আসলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”
স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণেই পাহাড়ে বসতি উচ্ছেদ সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও পাহাড় রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারী পরিবেশবাদীদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, “মানুষ বেঁচে থাকলে তো জীবিকা। জীবন রক্ষার জন্য জোর করে সরিয়ে নিতে হবে।উচ্ছেদ নয়, ঝুঁকিপূর্ণ জীবন থেকে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে উদ্ধার করতে হবে।”
এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংসদ আফসারুল আমীন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এফ কবির আহমদ মানিক মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। লালখান বাজার এলাকা থেকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যান ঝড়ে লন্ডভন্ড ফইল্যাতলি বাজার এলাকা পরিদর্শনে।
মঙ্গলবার সকালে এক মিনিটের ঝড়ে ফইল্ল্যাতলী, কলেজ রোড, উত্তর সরাইপাড়া লোহার পুল, সগির চৌধুরী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের হিসেবে, নগরীর কমপক্ষে ৩০টি পাহাড়ে ৬৬৬টি পরিবার বেশি ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। এদের মধ্যে মতিঝর্ণা এলাকায় বসবাসকারী লোকজনই বেশি। ২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রামে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ও ভূমিধসে মারা যায় ১২৭ জন। লালখান বাজারের মতিঝর্ণাতেই ঘরের ওপর পাহাড় ধসে বেশকয়েকজন নিহত হয়েছিল।
২০১২ সালের ২৬ জুন রাতে আকবর শাহ এলাকার ইয়াসিন কলোনির কবরস্থানের পাহাড় ধসে ঘর চাপা পড়ে নিহত হয় আটজন। একইদিন নগরীর উত্তর পাহাড়তলীর বিশ্বকলোনি, মক্কীঘোনা ও বাঁশখালীতে তিনজনসহ আরো ১৫ জন নিহত হন।এর আগে ২০১১ সালের ১ জুলাই নগরীর টাইগারপাস এলাকার বাটালি হিলের রিটেইনিং দেয়াল ধসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালের ১৮ অগাস্ট নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড় ধসে মারা গিয়েছিলেন চার পরিবারের ১১ জন।