
এমপি রানার জামিন স্থগিত করলো আপিল বিভাগ
টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চার মাস স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া ছয় মাসের মধ্যে মামলার বিচার কার্য শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ প্রদান করেছে।
সোমবার (৮ মে) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামি এমপি রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার।
গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুলও জারি করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে যায়। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের সময়ে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৬ এপ্রিল রানার জামিন তিন দিনের জন্য স্থগিত করেন ।
অত:পর ১৮ এপ্রিল চেম্বার বিচারপতি স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৮ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করে আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। সোমবার আবেদনটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসলে রানার জামিন চার মাস স্থগিতের আদেশ দেন।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
সাংসদ রানা, তার তিন ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। একই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া রানার জামিন নাকচ করে দিলে মামলাটি হাইকোর্টে গড়ায়। এমপি রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে এর আগেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।