
ওজন দেখে যারা নম্বর দেন তাদের শায়েস্তা করতে আইন হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
জাগ্রতবাংলা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পাবলিক পরীক্ষায় যারা উত্তরপত্রের ওজন দেখে নম্বর দেন তাদের শায়েস্তা করতে আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘দেশের গুটিকয়েক অসৎ শিক্ষক উত্তরপত্রের ওজন দেখে নম্বর দিচ্ছেন। যার প্রমাণ মিলছে পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে। প্রথম ধাপে ওই শিক্ষকরা উত্তপত্র ঠিকমত দেখেননি, তাই পুনঃনিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হয়েছে। আর তাদের শায়েস্তা করতে নতুন আইন তৈরি হচ্ছে।’
রবিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের অঙ্গীকার বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর পুনঃনিরীক্ষায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে? নিশ্চয় শিক্ষকদের অবহেলা রয়েছে। কিছু শিক্ষক সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন না করে উত্তরপত্রের ওজন দেখে নম্বর দিয়ে দিচ্ছেন। আমরা এসব শিক্ষককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। যারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকবেন না তাদের বেতন বন্ধ করা হবে, চাকরিচ্যুত ও শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকরা এখন প্রশ্ন ফাঁস করছেন। বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। তাদের শায়েস্তা করতে নতুনভাবে আইন তৈরি করা হচ্ছে।’
এ সময় শুদ্ধচার শপথের মাধ্যমে নতুনভাবে ন্যায়নীতি ও মূল্যবোধ জাগ্রত করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুদ্ধাচারের প্রয়োগের মাধ্যমেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। নতুন প্রজন্মকে সততা, নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে আমাদের জাতীয় লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষক সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুদ্ধাচার, ন্যায়নীতি ও মূল্যবোধের গুরুত্ব শিক্ষা পরিবারে সবচেয়ে বেশি।’
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন, কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব জিয়াউল আলম প্রমুখ।