
ঘাটাইলে লো ভোল্টেজে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন ফসলী জমি
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে লো ভোল্টেজের কারণে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ ঘাটাইল থানার পুর্বাঞ্চল মুলত পাহাড়ী অঞ্চল বলে সেখানে ধান চাষের জন্য সেচের প্রধান ব্যবস্থা হচ্ছে বৈদ্যুতিক চালিত মোটর ৷ চৈত্র মাসের শুরু থেকে বিদ্যুৎতের লো ভোল্টেজের কারনে বোরো ধানের জমিতে পানি সেচের অভাবে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে৷ যার ফলে বোরো ধানের ব্যাপক আকারে ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা ৷ কৃষকরা আরও জানান, বছরে দুইবার ধান চাষ করেন (আমন,বোরো) তবে আমন চাষের সময় বর্ষাকাল থাকায় পানি সেচের জন্য বেশি সেচ পাম্পের উপর নির্ভরশীল হতে হয় না তবে বোরো ধান চাষ শুরু থেকে সেচ পাম্পের উপর নির্ভর করতে হয় ৷ কিন্তু চৈত্র মাস থেকে যখন বোরো ধানের শীষ বের হতে শুরু করে তখন থেকে বেশি বেশি সেচ দিতে হয়৷ তবে ঐসময়টাতেই থাকে লোডশোডিং ও লো ভোল্টেজ ৷ যার জন্য ফসলের অনেক ক্ষতি হয় ৷ ২০১২সালের পর থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কতৃক পর্যায়ক্রমে সন্ধানপুর, রসুলপুর, দেওপাড়া,ধলাপাড়া এই চার বৃহত্তর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় ৷ বিদ্যুৎ সংযোগের পর এই অঞ্চল গুলোতে বিপুল পরিমান পানির মোটর স্থাপন করা হয় ৷ আর ব্যাপকভাবে ধানসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করা হয় ৷
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা বিদ্যুৎ সংযোগের আগে যে পদ্ধুতিতে (মেশিন) সেচ দিত সেই ব্যবস্থাও এখন নেই ৷ যারা আগে পানি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করতো তার বিদ্যুৎ সংযোগের পর তিন চারজন মিলে গভীর নলকূপ বা মোটর পাম্প বসিয়ে ফসল চাষ করে ৷ তবে লোডশোডিং ও লো ভোল্টেজে সেই সাথে পানি অনেক গভীরে চলে চাওয়ায় সেচ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছে না কৃষকরা ৷ আর সেজন্য বৃষ্টির দিকে চেয়ে থাকে চাষীরা তবে চৈত্র বৈশাখে যতটা বৃষ্টি হয় তার থেকে ঝড়ের পরিমান বেশি থাকায় ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷ একবার যদি ঝড়ের কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় তবে তিন চারদিন পর বিদ্যুৎ আসে ৷ আর এসব অসুবিধার ফলে প্রভাব পড়ে শুধুই ফসলের উপর ৷ আর ফসলই হচ্ছে কৃষকের প্রধান হাতিয়ার ৷
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, সরকারের কাছে একটাই দাবি ২৪ঘন্টায় ১৬ঘন্টা লোডশোডিং না দিয়ে যেন ১৬ঘন্টা পরিপুর্ণ উচ্চ ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবারহ করা যেন হয় ৷