
চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২% আশা অর্থমন্ত্রীর
অনলাইন ডেস্ক: চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া প্রাক্কলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগের তুলনাায় আমাদের সাফল্য অব্যশই এখন বেশি। এজন্য আশা করি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ আমরা যখন চূড়ান্ত হিসাব পাবো, তখন দেখা যাবে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হিসাব অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং তথ্য নির্ভর। এজন্য বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের চূড়ান্ত হিসাব গ্রহণ করে থাকে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের জিডিপির বিষয়ে বিশ্বব্যাংক যে হিসাব দিয়েছে, এ নিয়ে বিতর্কের কোন অবস্থা সৃষ্টি হয়নি। কারণ সংস্থাটি স্পষ্টত বলে দিয়েছে, তারা কিছু অনুমতির ওপর নির্ভর করে এই প্রাক্কলন করেছে। তাদের নিজস্ব কোন তথ্য নেই। তারা আমাদের তথ্য নিয়ে মূলত হিসাব করে থাকে। আমরা যেহেতু নিজস্ব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে হিসাব করে থাকি-তাই আমাদের জিডিপির হিসাব অত্যন্ত বাস্তবসম্মত।’
বিশ্বব্যাংক গতকাল ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক আরোপের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক ব্যাংকসমূহ অনেক বছর ধরে দিয়ে আসছে। এটা নতুন কিছু নয়। এবার শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে আমানতের সীমা এবং শুল্ক হার বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে তিনি ইআরডির অনলাইনভিত্তিক ফরেন এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএএমএস) সফটওয়্যারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি জুনাইদ আহমেদ পলক, এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ইআরডির ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম, এফএএমএস প্রকল্প পরিচালক ফরিদা নাজনীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আগে আমাদের জিডিপির ৮ শতাংশ ছিল বৈদেশিক সহায়তা। ১৯৯১ সালে ভ্যাট বাস্তবায়নের পর এটা কমতে শুরু করে। বর্তমানে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ মাত্র।বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলভাবে বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহার করে থাকে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এফএএমএস সফটওয়্যার চালু হওয়ার ফলে বৈদেশিক সহায়তার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ অনেক বেড়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে ডিজিটাল প্লাটফরম সৃষ্টি হয়েছে, এই সফটওয়্যার চালু হওয়ার মাধ্যমে তা আরো গতিশীল হবে। বর্তমানে ৪০ শতাংশ সরকারি সেবা অনলাইন পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান।