
চৌহালীতে বাঁধের ৬৭ মিটার এলাকা জুড়ে ধ্বস
ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারী টাকা
চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ : সরকারী টাকা ভেস্তে যেতে বসেছে। সরকারী অর্থের বিনিময় বছরে পর পর ভাঙ্গন রোধ কল্পে কোটি টাকা বাজেট করেও চৌহালী ও টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলার বাঁধ প্রকল্প এবং জনগণের বসবাসী উপযোগী এবং কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে না যায় তার জন্য বাঁধ প্রকল্পটি নির্মান ও রক্ষনা-বেক্ষন এবং যমুনা নদী ভাঙ্গনরোধ কল্পে পাউবো’র সহযোগিতায় বাঁধের কাজ শুরু করা হয়। বাঁধ প্রকল্পের পূর্বে যমুনা ভাঙ্গনে চৌহালী উপজেলায় ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবসতি বাড়ি ঘর ভেঙ্গে কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। তারা এখন অসহায় ও অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নির্মাণাধীন বাঁধে ৬৭ মিটার এলাকায় জুড়ে আবার ধ্বস নেমেছে। ইতোমধ্যে বাঁধের ১৫ মিটার এলাকা যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ নিয়ে গত এক মাসের ব্যবধানে তিন দফায় বাঁধটিতে ধ্বস নামলো। উপজেলার সকাল থেকে বাঁধটির জোতপাড়ায় এ ধ্বস দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, যমুনার ভাঙ্গন থেকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী শহর ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার তীর সংরক্ষন বাধটির প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ভাঙ্গনকৃত এলাকার বাসীন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
উপজেলার নিঃস্ব সহায়সম্বলহীন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ বার বার একই প্রতিশ্রুতি দিলেও যমুনার ভাঙ্গন রোধ এখনো থামেনি। এর কারণ হিসাবে উল্লেখ করলে স্থানীয়রা জানান, একদিকে অধিক গরম এবং প্রতিদিন যমুনা পানি বৃদ্ধি। উজান থেকে যমুনার স্রোতধারা এসে জেলার শেষপ্রান্ত চৌহালীর বাঁধে ব্যাপক হারে ধ্বাক্কা লাগে। সে জন্যই বাঁধটি বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছে। পাউবো কর্মকর্তাকৃন্দ বাঁধটি মজবুত ও ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প রোধ আধুনিকায়ন ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারে তাহলে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং ফ্যালে ভাঙ্গন রোধ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই বাঁধটির জোতপাড়া অংশে ১৫ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং গভীরে আরও ৬৭ মিটার ধ্বসে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ধ্বস ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, বাঁধের তলাদেশে গর্তের সৃষ্টি হওয়াই এই ধ্বসের মুল কারণ। এতে আতংকের কিছু নেই।