
জামিন জালিয়াতি মামলায় ৫ জনকে ১৪ বছরের কারাদন্ডাদেশ
বিশেষ প্রতিবেদক, জাগ্রতবাংলা ২৪ ডটকম: জামিন জালিয়াতি মামলায় ১০৬ আসামিকে মুক্ত করায় ঢাকার এক বেঞ্চ সহকারীসহ পাঁচজনের প্রত্যেককে ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২২ মার্চ) ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা- ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বরখাস্তকৃত বেঞ্চ সহকারী মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের কর্মচারী শেখ মো. নাঈম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের উমেদার মো. আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. ইসমাইল।
রায়ে বিচারক দণ্ডবিধির ৪৬৬ ও ৪৭১ ধারায় আসামিদের ১৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে দুটি ধারায় প্রত্যেককে ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাস করে দুই মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া উভয় ধারায় দেওয়া সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) শওকত আলম বিষয়গুলো জানিয়েছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোসলেহ উদ্দিন ও এমএলএসএস শেখ নাঈমসহ অজ্ঞাত কয়েকজন বিচারাধীন ৭৬টি মামলায় বিচারকের সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জামিননামা তৈরি করে ১০৬ আসামিকে মুক্ত করেন। এ ঘটনাটি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. উবায়দুল করিম আকন্দ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পরে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।