
নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রবিবার গ্রুপ অফ সেভেন বা জি-সেভেন নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন। তারা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে আরম্ভ হওয়া রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করতে, ইউক্রেনের নেতার সাথে বৈঠক করছেন ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালী, জাপান, জার্মানী এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা। জি-সেভেন ইউক্রেনের জন্য শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার অঙ্গীকার করেছে।
রবিবারের বৈঠকটি রাশিয়ার বার্ষিক বিজয় দিবস উদযাপনের একদিন আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নাৎসি জার্মানীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত জয়ের ৭৭তম বার্ষিকী স্মরণে দিবসটি উদযাপন করা হবে। দিবসটি রাশিয়া জুড়ে সামরিক প্যারেডের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়।
রাশিয়ার সোমবারের বিজয় দিবস উদযাপনের আগে দিয়ে গোলাবর্ষণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
শনিবার তার প্রাত্যহিক বক্তব্যে, জেলেন্সকি খারকিভ অঞ্চলে এক যাদুঘরে রাশিয়ার বোমাবর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানান। যাদুঘরটি ১৮ শতকের দার্শনিক ও কবি হ্রিহরি সোভোরোদাকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছিল। জেলেন্সকি জানান যে, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০০ সাংস্কৃতিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রবিবার জানান যে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের বিলোহোরিভকা গ্রামের এক বিদ্যালয়ে রাশিয়ার বোমাবর্ষণের পর সেখানে ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখান থেকে ত্রিশ জনকে জীবিত এবং দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে সেটিকে একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
অপরদিকে, রাশিয়ার অবরোধ করে রাখা মারিউপোলের ইস্পাত কারখানা থেকে সকল নারী, শিশু ও বয়োঃবৃদ্ধদের সরিয়ে আনা হয়েছে বলে, কিয়েভে অবস্থিত ভিওএ’র সাংবাদিক অ্যানা চেরনিকোভা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি এখনও মানুষজনকে সরিয়ে আনার ঐ কার্যক্রম শেষ হয়েছে এমন কিছু বলেনি। জাতিসংঘ উদ্ধার কার্যক্রমটির নেতৃত্বে রয়েছে।