
ঝালকাঠিতে হেভিওয়েটদের লড়াই
সংগঠিত আ’লীগ, সুযোগের অপেক্ষায় বিএনপি, দুর্গে দুর্বল জাপা
খাইরুল ইসলাম, ঝালকাঠি সংবাদদাতা: ঝালকাঠি জেলার রাজনীতি মূলত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। জেলায় রয়েছে ২টি সংসদীয় আসন। একাধারে দুই বার ক্ষমতায় থাকায় আসন ২টিতে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক শক্তিশালী আওয়ামীলীগ। রাজনৈতিক মামলা মোকাবেলা করতে অনেকটা কাবু হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যেন চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। এক সময়ের জাতীয় পার্টির দখলে থাকা এই ২টি আসনে বর্তমানে জাতীয় পাটির অবস্থান অনেকটা দুর্বল। তৎতকালিন জাতীয় পার্টির মহাসচিব একাধিকবারের যোগাযোগ মন্ত্রী জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু) চেয়ারম্যান বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি ঝালকাঠি-১ আসন থেকে ও মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টো ঝালকাঠি-২ আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। পাওয়া না পাওয়ার বেদনায় জাতীয় পার্টি ক্ষমতা হারানোর পর অনেক বাঘা নেতারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার এরশাদের জাতীয় পার্টির সমর্থক-ভোটার থাকলেও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে সে গোলায় ফসল তুলতে পারছে না তারা। আ’লীগের অবস্থান সুদৃঢ় হলেও আগামী নির্বাচনে এ ২টি আসনে বরাবরের মতোই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সাথে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমন আভাস পাওয়া গেছে। একাদশ জতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে নির্বাচনী আমেজ বইছে।
ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মূল আশা-ভরসা প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সব সঙ্কটে আমুই নেতাকর্মীদের কা-ারি। অতিতের চেয়ে তার সাথে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মধ্যে এই সম্পর্ক শীতল হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর থাকে না। তিনি এ আসন থেকে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও ২০০০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকলে এ আসনের তৎতকালিন জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত জুলফিকার আলী ভূট্টের মুত্যুর দীর্ঘ দিন পর এ আসন পুনরুদ্ধার করেন আমু। পরে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে তিনিই ছিলেন এ আসনে আ’লীগের একক প্রার্থী।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. মিল্লাত হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনিও আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাাদক ও বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুল আলম নান্নু, সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য জেবা আহমেদ খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়া, সহ-সভাপতি শিকদার মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রফিক হাওলাদার। এ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাহবুবুল আলম নান্নু ১২টি রাজনৈতিক মামলায় প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন। এছাড়াও মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর কয়েকটি মামলায় কারাবরণ করেন। একাধিক মামলায় জেল খেটেছেন রফিক হাওলাদার। তবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো নবম সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী আমির হোসেন আমুর কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পরে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। ওই নির্বাচনের পর থেকে তিনি এলাকায় না ফেরায় অনেকটা জনবিছিন্ন হয়ে পড়েছেন এই জাতীয় পার্টি থেকে আসা বিএনপির এই নেত্রী। তিনি বিএনপির সাবেক সংসদ হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে নেই কোন রাজনৈতিক মামলা। কোন রাজনৈতিক মামলা না থাকলেও দলের দু:সময়ে আর্থিক সাহায্য করে দলকে চাঙ্গা রেখেছেন মিঞা আহমেদ কিবরিয়া। কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল বিএম কলেজের ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু, মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বিএনপি থেকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল বিএম কলেজের ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু বলেন, তিনি বিএম কলেজে ভিপি থাকাকালে ঝালকাঠি রুটে কলেজ বাস নিয়ে আসেন। ১৯৯২ সালে কলেজ বাস ঝালকাঠি রুটে কলেজ বাস দেয়ায় অনেক গরিব মেধাবী ছাত্র ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০১৫ সালে রাজনৈতিক মামলায় জেলখাটেন। তিনি আরও বলেন বার বার ভাড়াটিয়া লোক বিএনপির এমপি হওয়ায় দল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দলের পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মিরা বঞ্চিত হয়েছে। দলের মধ্য থেকে প্রার্থী দিলে আ’লীগের শক্তিশালি প্রার্থীর সাথে লড়াই করে জয়ী হতে সুবিধা হবে। অপর দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, জেলা বিএনপি সুসংগঠিত। কেন্দ্র ঘোষিত সকল কার্যক্রম তার নেতৃত্বে পালন করা হয়। বর্তমান আ’লীগ সরকারের আমলে তার পরিবারের উপর হামলা মামলা দিয়ে জর্জরিত করা হয়েছে। জেলার ৪ উপজেলা, ৩২টি ইউনিয়নে কমিটি রয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনিই দলের মনোনয়ন পাওয়ার দাবী রাখেন। এক সময়ের জেলার ২টি আসন দখলে থাকা জাতীয় পার্টির সিনিয়ার নেতারা দল বদল করায় দুর্বল হয়ে গেছে। ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে আলোচনায় আছেন, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ক্রীড়া সম্পাদক ও জেলা জাতীয়পার্টির সমন্বয়কারী এমএ কুদ্দুস খান, কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সমন্বয়কারী এম. রফিক ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু। এই তিন জনের নাম জেলা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এ আসনে বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে আ’লীগ প্রার্থীদের লড়াই হবে সমানে সমান।
অপরদিকে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে মূল ফ্যাক্টর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীরউত্তম। দুদকের একটি দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। এ কারণে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী তিনি অযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন বিএনপির অন্য কোন নেতা। শাহজাহান ওমরে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার দলীয় প্রতিপক্ষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল। তবে শাহাজাহান ওমর হাইকোর্ট থেকে ওই মামলায় খালাস পেয়েছেন বলে তিনি এ জানিয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল। ঝালকাঠি-১ আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন হারাতে পারেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন (বিএইচ হারুন)। যদিও তিনি নবম সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের টিকেট পেয়ে বিজয়ী হলেও দশম নির্বাচনে ওই আসনে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সম্প্রতি ঢাকার হোটেল রেইনট্রিতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তার ছেলে মাহির হারুন জড়িয়ে যাওয়ায় বিএইচ হারুন এলাকায় অনেকটা বিতর্কিত হয়েছেন। ওই হোটেলের মালিক হিসেবে তিনিও বেকায়দায় পড়েন। রেইনট্রিতে ধর্ষণের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় কাঠালিয়া উপজেলার বাদল হাওলাদার নামে এক সাংবাদিককে মারধর করে বিএইচ হারুন সমর্থিত ক্যাডাররা। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা আন্দোলনে নামলে দলীয় চাপে পড়েন বিএইচ হারুন। এসব কারণে এবার মনোনয়ন হারাতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির, দৈনিক বাংলাদেশ সময় পত্রিকার সম্পাদক ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ড. এমএ হান্নান ফিরোজ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক অতিরিক্ত সচিব মু. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় আ’লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মু. মুনিরুজ্জামান মুনির। এ আসনে আ’লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সমর্থনে এগিয়ে আছেন খান সাইফুল্লাহ পনির।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, অতিতের সকল সময়ের চেয়ে ঝালকাঠি জেলায় বর্তমান আওয়ামীলীগ শক্তিশালি। জেলার সকল উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দক্ষিনাঞ্চলের আওয়ামীলীগের অভিবাবক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর প্রচেষ্টা ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতার কারনেই জনগন আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। এ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন বাস্তবায়ন করায় উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে তিনি আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে আহবান জানান।
ঝালকাঠি-১ আসনের এমপি বজলুল হক (বিএইচ) হারুন বলেন, তিনি এমপি নির্বাচিত হবার পর কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংশা ঘটেনি তার নির্বাচনী এলাকায়। আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হওয়ায় মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে। তিনি বলেন অপর এমপিদেরমত উন্নয়ন কাজে কোন পার্সেন্টিস নেন না। সম্প্রতিক সময়ে তার তার পরিবারের মানিলকানাধীন ‘হোটেল রেইনন্ট্রি’তে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় তাকে নিয়ে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। এ ঘটনার দোষীদের তিনিও বিচার দাবী করেন।
এদিকে এক সময়ের জাতীয় পার্টিও দুর্গখ্যাত এ ২টি আসনে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ঝিমিয়ে পড়েছে দলটির কার্যক্রম। ভোটব্যাংক থাকলেও নেতৃত্বের শুন্যতায় ভুগছে দলটি। দলের এক সময়ের দাপুটে নেতাদের আ’লীগ ও বিএনপিতে যোগ দেয়ায় দুর্বল হয়ে পরে দলটি। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গেছাচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ে। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জাতীয় জাতীয় মহিলা পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য একেএম সেলিম রেজা, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কামরুল ইসলাম খান ও কাঠালিয়া জাতীয় পার্টির আহবায়ক গোলাম মোস্তফা। ইতোমধ্যে এই ৪ জনের নাম কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রস্তাব করেছে জেলা জাতীয় পার্টি।
অপরদিকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলায় আসামি হওয়ায় এক রকম পলাতক জীবনযাপন করছেন। দলীয় বৈঠক করছেন গোপনে। ঝালকাঠিতে আশির দশকের শেষের দিকে দলটির কার্যক্রম শুরু হলেও এত বছরেও তার জেলায় কোন গণভিত্তি তৈরি করতে পারেনি।
এ ছাড়া জাতীয় সমাজতন্ত্রীক দল জাসদ (ইনু) ৩ বছর ধরে কমিটি হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পর্যায় কমিটি গঠন করেছে দলটির নেতা। জেলা জাসদ সভাপতি সুমকল ওঝা দোলন ঝালকাঠি সদর আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে জাসদ (রব) এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জেলা শাখার সভাপতি আ. রবের নেতেৃত্বে বেশ কয়েক বছর ধরে কমিটি থাকলেও তেমন কোন কার্যক্রম চেখে পরছেনা। তিনি ও ঝালকাঠি-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করবেন। তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি খুবই দুর্বল।
অপরদিকে জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু) চেয়ারম্যান বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি এবারও ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তৎতকালিন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি মহাসচিব থাকাকালে ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের আমলে যোগাযোগ মন্ত্রী থাকায় দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নে তার অবদান ভুলেনি এ অঞ্চলের মানুষ। তিনি এ আসনে নির্বাচনে আসলে বেগ পেতে হবে প্রতিদন্ধী প্রার্থীদের।
নির্বাচনের ব্যাপারে জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু) চেয়ারম্যান বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি বলেন, নির্বাচনের এখনও অনেক সময় আছে। নির্বাচনে অংশগ্রহন করব কিনা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে মানুষের ভালবাসায় আমি সিক্ত। এখনও এ এলাকার মানুষ আমাকে ভুলেনি। তিনি নির্বাচন করলে তার সময়ের উন্নয়নের কথা চিন্তা করবে জনগণ।