
জাগ্রতবাংলা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৯০ বছর বয়সী বিধবা নারীকে ২৫ বছর বয়সী এক যুবক কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত ভোররাতে উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের দশকিয়া উত্তরপাড়া (পালপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ওই বিধবাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহান। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, দশকিয়া উত্তরপাড়ায় (পালপাড়া) ওই বৃদ্ধা বাড়ির একটি টিনসেড ঘরে একা ঘুমাতেন। তার তিন ছেলে আলাদা আলাদা ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন। সোমবার দিনগত ভোর রাতে ওই বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে পাশের কদিম হামজানী গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে পলাশ মিয়া (২৫) যৌন নিগ্রহ চালায় ও ঘুষি দিয়ে দাঁত ভেঙে ফেলে। শাশুড়ির গোঙানির শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে তার পুত্রবধূ এগিয়ে আসতে চাইলে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দরজার বাঁধন খুলে দিলে তিনি ও অন্যরা বাইরে এসে ওই বৃদ্ধাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। ওই সময় বৃদ্ধার দাঁত ভাঙা ও যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রতিবেশিরা জানায়, শরিফ উদ্দিনের ছেলে মাদকাসক্ত পলাশ মিয়া (২৫) একজন নেশার টাকা জোগারে চুরি-ছিনতাই করে থাকে। মাদকের টাকার জন্য ঘরে ঢুকে বিধবা বৃদ্ধাকে একা পেয়ে পলাশ মিয়া ধর্ষণ করে ও মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ওই বিধবার পুত্রবধূ পলাশ মিয়াকে দেখতে পেয়েছেন।
ওই বিধবার পুত্রবধূ জানান, গোঙানির শব্দ পেয়ে তিনি শাশুড়ির ঘরে যাওয়ার সময় দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পান। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে বাইরে থেকে বাঁধন খুলে দিলে তিনি ও বাড়ির অন্যরা বেড়িয়ে আসেন। ওই সময় বাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে পলাশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ডাক দিলে পলাশ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে শাশুড়ির ঘরে গিয়ে তাকে খাটের নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। তখন শাশুড়ির গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছিল।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহান জানান, ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দশকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মালেক ভূঁইয়া জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। শোনা যাচ্ছে একজন মাদকাসক্ত ৯০ বছর বয়সী বিধবাকে ধর্ষণ কওে, যা চরম অন্যায়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।