
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা, জাগ্রতবাংলা ২৪ ডটকম: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে জেলার বিভিন্ন সংগঠন।
রোববার(১৯ মার্চ) সকালে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে শহরের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক ঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, জেলা যৌন নির্যাতন নির্মূলকরণ নেটওর্য়াকের সভাপতি অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা শেলি, মানববাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, আরপিডিও’র নির্বাহী পরিচালক রওশন আরা লিলি, নেটওর্য়াকের সদস্য নাজমুস সালেহীন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) মমতাজ বেগম এবং পুলিশ সুপার মো.মাহবুব আলম পিপিএম স্মারকলিপি গ্রহন করে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
অভিযোগ বিবরনে জানা যায়, গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির সাথে বিরোধ চলে আসছিল। শ্বশুরবাড়ীর বিরোধ নিস্পতি করে দেওয়ার কথা বলে মনির নামে এক ছেলে দিয়ে কৌশলে কালিহাতী মিমাংসা হবে এমন কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে এলেঙ্গায় রির্সোটের এক রুমে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ধর্ষনের পর গৃহবধুর রক্তক্ষরণ হলে ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকী রাস্তায় ফেলে চলে যায়। গৃহবধু তার মা বাবাকে ফোনে জানায়, স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষনের শিকার গৃহবধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরত। তার মেডিক্যাল পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষক চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকীর লোকজন মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাদীকে গুম করার জন্য তার মাদক বাহিনীর সদস্যদের লেলিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। ধর্ষক চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবত চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা করে আসছিল। নিরাপদ আস্তানা বেছে নিয়েছিল এলেঙ্গা রিসোর্টকে। এলেঙ্গা রিসোর্টে বসে সারা দেশের মাদক ও চোরাচালানের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতো এ ধর্ষক চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকী।