
টাঙ্গাইলে নামে মিল থাকায় গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল জামিনে মুক্ত
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার চতলবাইদ (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের নির্দোষ দিনমজুর রফিকুল ইসলাম শুধু গ্রাম ও নামে মিল থাকায় ছয় দিন ধরে (শনিবাবার পর্যন্ত) জেল-হাজতে থাকার পর ৫০০ টাকার বন্ডে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। রোববার(২১ মে) সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সখীপুর থানা) আমলী আদালতের বিচারক রূপম কান্তি দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরআগে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ দেখে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ তাকে আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
জানাগেছে, ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যারাম খেলা নিয়ে সখীপুর উপজেলার চতলবাইদ(ভাতকুড়া চালা) গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫) গজারিয়া গ্রামের সায়েজ উদ্দিনের ভাগ্নে খায়রুলের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় পরের দিন তিনি বাদী হয়ে রফিকুল ও আরও একজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় গত ১৪ মে(রোববার) সখীপুর থানা পুলিশ চতলবাইদ (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের মৃত ঠান্ডু মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামকে(৪৪) গ্রেপ্তার করে। ১৫ মে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী সখীপুর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের সায়েজ উদ্দিন জানান, শুধুমাত্র নামের মিলই পুলিশ দেখলো? বাবার নামটি মিলিয়ে দেখা উচিত ছিল। তাছাড়া বয়সটাও খেয়াল করেনি পুলিশ। একই ভুল পুলিশ দুইবার করলো। এরআগে বিগত ২০১৫ সালের ১৪ মে একই মামলায় রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে সখীপুর থানা পুলিশ এবং তাকে আদালতে নেয়া হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। পরে মামলার বাদীর সহায়তায় রফিকুল ওই বছর তিন দিন কারাভোগের পর ১৬ মে মুক্তি পায়।
সায়েজ উদ্দিন জানান, ১৪ মে পুলিশ যে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করেছে তার বাবার নাম মৃত ঠান্ডু মিয়া, গ্রাম- চতলবাইদ (ভূঁইয়াপাড়া)। এই রফিকুল প্রকৃত আসামি নয়। প্রকৃত আসামি এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, মামলার প্রকৃত আসামি রফিকুল হলেও বাবার নাম আব্দুর রশিদ, গ্রাম- চতলবাইদ(ভাতকুড়া চালা), বয়স ২৫ বছর।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ জানান, বিষয়টি খুবই উদ্বেগ জনক, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা। এ ঘটনায় পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট পুলিশের অদক্ষতা ও গাফিলতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।