
জমি নিয়ে বিরোধের জের
টাঙ্গাইলে পুলিশের সামনেই খুন!
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলে দেলদুয়ারে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পুলিশের সামনেই প্রতিপক্ষের আঘাতে ছানা মোহন ঘোষ (৭২) নামে এক বৃৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকেলে উপজেলার পাথরাইলে এ ঘটনা ঘটে। সানা মোহনের মৃত্যুর পর স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অপর দিকে হত্যার অভিযোগে চৈতন্য রায় তার পরিবার নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, ছানা মোহন ও চৈতন্য রায়ের দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। নরেন্দ্র ঘোষের ৬ শতাংশ জমি একহাত ফুট রাস্তা দেয়ার শর্ত সাপেক্ষে ক্রয় করে চৈতন্য রায়। নরেন্দ্র ঘোষ রাস্তাও দিয়েছেন। চৈতন্য বর্তমানে নরেন্দ্র ঘোষের বড় ভাই ছানা মোহন ঘোষের কাছে গাড়ি প্রবেশের মতো অতিরিক্ত জায়গা দাবি করায় বিরোধের সূত্রপাত হয়। এদিকে এক হাতের বেশি জায়গা রেখে সানামোহন ঘোষ বাড়িতে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে দেলদুয়ার থানা পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌসসহ কতিপয় কিছু লোক বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। আলোচনার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় চৈতন্য উত্তেজিত হয়ে ছানা ঘোষকে শারীরিকভাবে আঘাত করলে তিনি পরে যায়। আহত অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে বাসন্তি ঘোষ, স্ত্রী দুলালী ঘোষ, নাতী বিপ্লব ঘোষ বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ এলাকাবাসী সীমানা নির্ধারণ করে গেছেন। সেমতে এক হাতের অধিক হাটার রাস্তা রেখে পাকা ঘর তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু চৈতন্য ক্ষমতার দাপটে গাড়ি প্রবেশের রাস্তা দাবী করছে। রোববার দুপুরে পুলিশ ও ভাড়াটে লোক এনে জোড় পূর্বক রাস্তা বাড়ানোর চেষ্টা করলে একসময় এসআই ইসতিয়াক আরাফাত রাস্তা বাড়ানোর পক্ষে থাকায় সাহস পেয়ে চৈতন্য রায় উগ্র হয়ে ছানা মোহন ঘোষকে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
এব্যাপারে পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফুজ্জামান লিটন বলেন, এর আগে আমি জায়গাটা পরিদর্শন করে একহাতের বেশি রাস্তা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কথা অনুসারে রাস্তা রেখেছিল। আজ হঠাৎ উপজেলা থেকে লোকজন আসার পরই এ ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে দেলদুয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমি শুনেছি সে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য আরেকটু রাস্তা রাখলে ভাল হত।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানান, সীমানা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চলছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে থানা পুলিশ গিয়েছিল। তবে পুলিশ চলে আসার পর ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।