
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টায় ৩ যুবক আটকের পর মুচলেকায় মুক্ত
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল শহরের চরকাগমারায় এক মুদি দোকানীকে ইয়ারা ও গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে তিন যুবক। পরে আটককৃতদের মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, চরকাগমারায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ক্লাব থেকে গত ৮ জুলাই ক্লাবের দুই সদস্য ওই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে শাকিল(২২) ও আবুল কাশেমের ছেলে শাকিলকে(২০) পুলিশ আটক করে। ওই ঘটনায় ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় মুদি দোকানদার মো. আব্দুল মালেককে(৪৫) পুলিশের ‘ইনফরমার’ হিসেবে সন্দেহ করে। পরে মঙ্গলবার(১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ক্লাবের সদস্য মামুন(৩৪) ব্যবসায়ী আব্দুল মালেককে ডেকে দোকানের পাশে নেয়। এ সময় আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ক্লাবের সদস্য মোস্তফা(৩৫), সিরাজ(৩৩), ওয়াহেদ আলী(৩৪) ও শব্দুল(৩০) অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে টেনে-হিচরে ক্লাবঘরে নেয়। সেখানে নিয়ে তারা আব্দুল মালেককে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে পকেটে কয়েক পিস ইয়াবা ও কয়েক পুড়িয়া গাঁজা দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার উদ্যোগ নেয়। সংবাদ পেয়ে এ সময় পুলিশ এসে আব্দুল মালেককে বঙ্গবন্ধুক্লাব থেকে উদ্ধার করে এবং পূর্বাপর ঘটনা জেনে চরকাগমারা এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মামুন, আব্দুর রহমানের ছেলে সিরাজ ও রহিজ উদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ আব্দুল মালেককে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আব্দুল মালেক বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে।
টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল ফকির জানান, ‘বঙ্গবন্ধু ক্লাব’ নাম দিয়ে স্থানীয় নিজু মোল্লার ছেলে উজ্জল ওরফে ইজ্জত, মোহর আলীর ছেলে মোস্তফা সহ ২০-২২জন তরুণ-যুবক নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামের উপর কলঙ্ক লেপন হচ্ছে- এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। যে ঘটনাটি ওরা ঘটিয়েছে এ ধরণের ঘটনা আরো ঘটিয়েছে।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. কোরবান আলী, কার্যকরী কমিটির সদস্য বুদ্দু, মো. আনোয়ার হোসেন সহ অনেকেই জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে ক্লাব প্রতিষ্ঠিত করে বেশ কিছু তরুণ-যুবক মাদক সেবন সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। আমরা বার বার নিষেধ করেছি কিন্তু শোনেনি। ওই ক্লাবটির সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেললেই অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমূল হক ভূইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে অভিভাবকরা এসে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।