
তুমি সংখ্যালঘু নও, তুমি সিংহ-জেগে উঠো আরেকবার-স্বামীজী
জাগ্রতবাংলা ২৪ ডটকম: “হে বীর সিংহ, তোমরা জেগে উঠে প্রমাণ করো; যে- তোমরা কোন ভেঁড়ার দল নও।” -স্বামীজী। যারা নিজেদের নিজ স্বার্থ অথবা চরিত্রহীনতার কারণে-ধর্ম নিরপেক্ষতা, বা মানবতা- ইত্যাদির মিথ্যে বুলি আওড়ায়; বা যারা তাদের স্বার্থের সাথে, তাদের ছদ্ম-পান্ডিত্যের- রঙিন শরবত বানিয়ে জনগণকে পরিবেশন করে; তারা হলো ছদ্মবেশী কাপুরুষ আর দেশদ্রোহী। স্বামীজীর ভাষায়, তারা হলো ভেঁড়ার দল।
এরা পন্ডিত নয়, এরা ধূর্ত শিকারী শেয়াল। এরা মানবপ্রেমী নয়, এরা সম্পদপ্রেমী আর ক্ষমতা প্রেমী। এরা নিরপেক্ষ নয়, এরা আপন স্বার্থপক্ষ। এরা দিনের বেলায় ছেঁড়া চটি পরে, কিন্তু রাতের বেলায় হীরের পাত্রে-এদের রাতের আহার সারে। এরা নিজের মাকে অনাথ আশ্রমে অনাহারে রাখে, কিন্তু অন্যের মা-কে মিথ্যে প্রেম দেখায়। এরা নিজের দেশকে শত্রুদের হাতে বেঁচে, নিজের পেট মোটা করে ; কিন্তু অন্যের দেশে বৃষ্টি হলে, এরা দেশে বসে ছাতা মাথায় দেয়। এরা বিভেদকামী শক্তি। এরা সংখ্যালঘুকে ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে, মানবতার অপমান করে; অথচ এরাই আবার অন্যকে, সাম্প্রদায়িক বলে গালি দেয়। এরা ভন্ড, এরা নেমক হারাম, এরা ছদ্মবেশী ইতর। সাবধান বন্ধু সাবধান! এই ভন্ডদের, ভন্ডামির শিকার তোমরা হইও না !-
হে বন্ধু, তোমরা ন্যাংটো হও। নিঃস্ব হও। সন্ন্যাসী হও। মোহ ত্যাগ করো, আর জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করো। জীবনে কি আছে তোমার? তোমার আছে কেবল- তোমার মাতা, তোমার বাংলা মাতা; আর তোমার মালবিকা। বীরভোগ্য বসুন্ধরা। বীর হয়ে তুমি-তোমার মায়ের মুখে একটু হলেও হাসি আনো, তোমার বাংলা মায়ের বুকে একটু শান্তি আনো, তোমার মালবিকার চোখে একটু স্বপ্ন আনো।-
শয়তানে ছেয়ে গেছে এ দেশ। ভন্ডতে ভরে গেছে এ বাংলা। ইঁদুর ছুঁচো টিকটিকির চরিত্রে ভরে গেছে এ বাংলার সমাজ। এদের অহং আছে, কিন্তু দম নেই। এদের হৃৎপিন্ড আছে, কিন্তু তাতে জীবনের কোন স্পন্দন নেই। এদের চকচকে দাঁত আছে, কিন্তু তাতে ভালোবাসা মাখা একটু হাসি নেই। এরা জীবিত মানুষ রূপে, পচা-গলিত কঙ্কাল। এদের চরিত্রের দুর্গন্ধে, বাংলা মাতা আজ রুগ্ন আর দুর্বল।
কিন্তু ভাই, তুমি তা নও। তুমি একজন বীর। প্রবল বিক্রমী, প্রবল পরাক্রান্ত সিংহ। তুমি সুভাষ বসুর সন্তান, তুমি মাষ্টার দা সূর্য্য সেনের সন্তান, তুমি বাংলার মায়ের সন্তান। তুমি স্বামীজীর সন্তান। তুমি বিদ্যাসাগরের সন্তান। তুমি ক্ষুদিরামের সন্তান। তুমি মাতঙ্গিনী হাজরার সন্তান।
যারা ভেঁড়া হয়ে, সারা জীবন “ম্যা-ম্যাঁ-মিউ মিঁউ” করতে চায়, তাদেরকে তোমরা তাই করতে দাও। কিন্তু তুমি-বুকে সিংহের সাহস আনো; মুখে বাঘের গর্জন আনো। ভালোবাসো, কিন্তু নখে ধার দিতে ভুলো না। যারা বীর-তাদের হৃদয় যেমন বড়, তাদের নখও তেমনি ধারালো। নখ আর দাঁতে ধার দাও বন্ধু, নখ আর দাঁতে ধার দাও। ক্রান্তি আজ আসন্ন। দেখা হবে বন্ধু, দেখা হবে ক্রান্তিকালে।
পরমগুরু স্বামীজীর সাথে, আকাশ বাতাস ফাটিয়ে, তোমরা এখনই প্রতিধ্বনি করো- “হে বাংলা, ভুলিও না-নীচজাতি, মূর্খ, দরিত্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই।
হে বীর সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল-আমি বাংলার বাসী, বাংলা বাসী আমার ভাই। বল- বাংলা বাসী, দরিদ্র বাংলা বাসী, ব্রাহ্মন ভারতবাসী, বাংলাবাসী আমার ভাই।
সদর্পে ডাকিয়া বল, বাংলা বাসী আমার ভাই, বাংলাবাসী আমার প্রান, বাংলার দেবদেবী আমার ঈশ্বর, বাংলার সমাজ আমার শিশুশয্যা, আমার যৌবনের উপবন, আমার বার্ধক্যের বারানসী। বল ভাই- বাংলা আমার মৃত্তিকা-আমার স্বর্গ। বাংলা আমার কল্যান।”
সিকেএ / জাগ্রতবাংলা