
দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে তখন কী হবে? : প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, জাগ্রতবাংলা ২৪ ডটকম: বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে অর্পণ করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানিতে ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অনুসারে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে তাকে অভিসংশন বা অপসারণ করতে জাতীয় সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে তখন কী হবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এমনকি এই শূন্যতা তাকে ভাবিয়ে তুলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাসের পর তা ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ করলে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর ৮ মে শুনানি শুরু হয়।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে শুনানির সপ্তম দিনে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ তার লিখিত বক্তব্য দেন। শুনানির একপর্যায়ে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার প্রসঙ্গ ওঠে। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, শাসনতন্ত্রের সবচেয়ে পবিত্র আইন তারা সংরক্ষণ করেন। এখানে এমন কিছু সন্নিবেশিত করা হলো, যাতে শূন্যতা সৃষ্টির সুযোগ আছে ! কারও (বিচারক) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (সংসদে) না থাকলে তখন কী হবে (বিচার বিভাগের)! এটি ভাবিয়ে তুলেছে। অ্যামিকাস কিউরি রোকন উদ্দিন মাহমুদও তার লিখিত বক্তব্যে একই প্রসঙ্গ তুলেছেন।