দূর্ণীতি মামলা ঘিরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ


দূর্ণীতি মামলা ঘিরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
অনলাইন ডেস্ক: দুর্নীতির কারনে বহুল আলোচিত-সমালোচিত নেতা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পদত্যাগ করলেন।
শুক্রবার পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির রায়ে সুপ্রিমকোর্ট নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে। এর পর পদ থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দেন নওয়াজ।
২০১৫ সালে পানামা পেপার্স ফাঁসের পর জানা যায় নওয়াজ শরীফের সন্তানরা বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে। তারপরই তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলা করা হয়, সেই মামলাকে কেন্দ্র করে প্রথমে সুপ্রিমকোর্ট থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে। তাই নিজের অপরাধ স্বীকার করে নওয়াজ শরিফ পদত্যাগ করে
রায় ঘোষণার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সুপ্রিমকোর্টের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নওয়াজ শরীফ পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আসতার আউসাফ জিও নিউজকে বলেন, নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
তবে নওয়াজ পদ ছাড়লে তার স্থলে কে দায়িত্ব নেবেন সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে দেশটিতে ২০১৮ সালে নির্বাচনের কথা রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট দুর্নীতির দায়ে নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন।
পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের এ রায়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা নওয়াজকে শাসনামল পূর্ণ করার আগেই পদ হারাতে হলো।
এদিকে মামলার রায়কে ঘিরে ইসলামাবাদের আদালত প্রাঙ্গণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
আদালত নওয়াজ পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে দুর্নীতির তথ্য উপস্থাপনের জন্য তদন্ত দলকে ছয় সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। এসময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরেরও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
আদালত নওয়াজের পাশাপাশি দুর্নীতির দায়ে তার মন্ত্রীসভার ফিন্যান্স মিনিস্টার ইসহাক দার ও সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন সফদারকে পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা দিয়েছেন।
পাঁচ বিচারপতি আসিফ সায়্যিদ খোসা, গুলজার আহমেদ, এজাজ আফজাল খান, আজমত সায়্যিদ ও ইজাজুল আহসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে ওই বেঞ্চের বিচারপতি খোসা ও গুলজার নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। বাকি তিন বিচারপতি যৌথ তদন্ত দল গঠনের পক্ষে রায় দেন। আর সেই দলের তদন্তের পর এবার নতুন রায় ঘোষিত হলো নওয়াজের বিরুদ্ধে।
ওই তদন্তে উঠে আসে যে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাদের অর্থনৈতিক সম্পদের হিসেব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া ২০১৫ সালে পানামা পেপার্স ফাঁসের পর জানা যায় মি. শরীফের সন্তানরা বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে।