
পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিস স্বাধীন ও স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে : ডিসিদের আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীন হচ্ছে নিম্ন আদালতে রাষ্ট্রের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিস। নিম্ন আদালতের এসব আইন কর্মকর্তাদের আর দলীয় বিবেচনায় নয়, স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠনের বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তা একবারে করা হবে না, পর্যায়ক্রমে করা হবে। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল (আজ বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনে আইন মন্ত্রণালয় বিষয়ে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা নিম্ন আদালতের জিপি, পিপি, এপিপিসহ মামলা পরিচালনাকারী সরকারি আইন কর্মকর্তাদের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ ও বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া তারা স্বাধীন আইন পরিচালনাকারী সংস্থা গঠনের দাবিও জানিয়েছেন। জবাবে আমি তাদের জানিয়েছি, সরকারের এ বিষয়ে পরিকল্পনা আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এটি হয়ে গেলে নিম্ন আদালতের আইন কর্মকর্তাদের দলীয় বিবেচনায় নয়, স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। সেজন্য (ইনডিপেনডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস) যে রিক্রুটমেন্ট করা হবে। তিনি বলেন, জেনারেল প্রসিকিউটর (জিপি), সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ও সহকারী জেনারেল প্রসিকিউটরের (এজিপি) বেতন-ভাড়া বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন ফেইজ (পর্যায়ক্রমে) ইনডিপেনডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিসটা করবো। তার জন্য যে রিক্রুটমেন্টের দায়িত্ব, সেটা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাবলিক প্রসিকিউটরদের অযোগ্যতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতির কারণে বিচারিক আদালতে মামলার বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়া নিয়ে আলোচনা বহু দিনের। বর্তমান ব্যবস্থায় পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ হয় অনেকটা রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর জন্য কোনো পরীক্ষা নেই, তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদও নেই। স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন হলে বিচারিক আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটরদের নিয়োগ হবে স্থায়ী। যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। নির্ধারিত বেতন-ভাতাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের মতো অন্য সুবিধাদি পাবেন তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতকে হাইকোর্ট অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছে- এ বিষয়ে ডিসিরা কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় মোবাইল কোর্টের ব্যাপারটিও উঠে এসেছে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসিরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা চেয়েছেন। আমি মোবাইল কোর্ট সম্পর্কে বলেছি, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবো না। সেজন্য সুবিস্তরে আলোচনা করাটা সাবজুডিস হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যেসব কিছু উল্লেখ করা উচিত তা তুলে ধরেছি আলাপ আলোচনা মাধ্যমে।