
‘পাস-ফেল বিবেচ্য নয়, পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে হবে’
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরীক্ষায় কত শতাংশ পাস বা ফেল করলো তা বিবেচ্য বিষয় না। বরং শিক্ষার্থীদের আরও পড়তে হবে, পড়াশুনার প্রতি মন দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তোমাদের জন্য আমরা অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। তোমাদের লেখাপড়া শিখতে হবে এজন্য যে ভবিষ্যতে দেশের দায়িত্ব তোমাদেরই নিতে হবে।
আজ রোববার সকালে গণভবনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ফেল করেছে তাদেরকে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ দিতে হবে। তাদের পড়ালেখার প্রতি আরও মনোনিবেশ করতে হবে, তাদের আরও ভালো করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার শিক্ষার অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার শিক্ষাকে বহুমুখী করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে পাসের হার কী ছিল, আর এখন কী? পরীক্ষায় কত শতাংশ পাস হলো, আর কত শতাংশ পাস হলো না, তা বিবেচ্য বিষয় নয়। বরং শিক্ষার গুণগত মানের প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়তে হবে। পড়াশোনায় মন দিতে হবে। অভিভাবক, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া। সন্তান যাতে মাদকাসক্তিতে না যায়, জঙ্গিবাদে না জড়ায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছেলেমেয়ে কার সঙ্গে মেশে, তা দেখতে হবে। পড়ালেখার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
ভবিষ্যতে পিতামাতা ও দেশের প্রতি আজকের শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লেখাপড়া শিখে শিক্ষার্থীদের মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। কারণ তাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। আমরা আর কত দিন? তাদের ভালো বিজ্ঞানী, শিক্ষক হতে হবে।
সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া ও ফল প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তার সরকার পরীক্ষা নেওয়া ও ফল প্রকাশের বিষয়টি একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছে। ফল পাওয়া নিয়েও আর ঝক্কিঝামেলা নেই। মোবাইল ও অনলাইনে ঘরে বসেই ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আজ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সারা দেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। যা গতবারের চেয়ে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম। এ বছর মোট পাস করেছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন পরীক্ষার্থী। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন। এবার ১০ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে। ব্যবহারিকসহ পরীক্ষা শেষ হয় ২৫ মে।