
পুষ্টির চাহিদা পূরণে ফল চাষ বৃদ্ধির ওপর মুহিতের গুরুত্বারোপ
অনলাইন ডেস্ক: দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো অপুষ্টিতে ভোগায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে এই পুষ্টির চাহিদা পূরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আজ ‘ফল গাছ রোপণ পক্ষ-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশ ইতোমধ্যে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে … তাই আমাদেরকে ফল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টিতে স্বয়ংসর্ম্পূতা অর্জন করতে হবে।’
ফল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মুহিত বলেন, দেশের শতকরা ৬০ ভাগ ফল শুধুমাত্র মে থেকে আগস্ট এই চার মাসে উৎপাদন হয় এবং বাকি আট মাসে হয় ৪০ শতাংশ ফল। তাই এ অবস্থার পরির্বতন প্রয়োজন। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করেছে। এখন আমাদের অপুষ্টি দূর করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) পৌছানো প্রয়োজন।
কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. মইনুদ্দিন আবদুল্লাহ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
ফল উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে ব্যাপক সংখ্যক কাঁঠাল উৎপাদন হচ্ছে এবং তা বিদেশে ‘সবজি’ হিসেবে রফতানি হতে পারে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যে সবুজ কাঁঠাল সবজি হিসেবে রফতানি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিকল্প মাংস হিসেবে মানুষকে সবুজ কাঠাল খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক গোলাম ফারুক বক্তব্য রাখেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী যৌথভাবে গিয়াস উদ্দিন মিল্কী অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীতে ৭৫টি স্টলে ৬০টি বিভিন্ন প্রজাতির ১৫২ প্রকারেরও বেশি ফল প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৭০ প্রকারের ফলের চাষ হচ্ছে এবং ৬৯ দশমিক ১৭ লাখ টনের চাহিদার বিপরীতে বছরে উৎপাদন হচ্ছে ৪৬ দশমিক ৯৭ লাখ টন।