
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণে আইপি ক্যামেরা! ঝুকি মাড়িয়ে বাসের ছাঁদে যাত্রী
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা, জাগ্রতবাংলা ২৪ ডটকম: বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে রাজধানীর নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতি যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১০টি পৃথকস্থানে আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঈদ পরবর্তী যানজট নিরসনে শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর থেকে প্রায় সাড়ে ৫০০ পুলিশ কাজ করছে। ফলে মহাসড়কে কোন যানজট নেই। কিন্তু এখনো প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে যানবাহনগুলোর ছাঁদে ছাঁদে উপচে পড়া জনতার ভীর।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে ঈদের আগে যানবাহন ধীরে গতিতে চললেও কোন যানজট ছিল না। ঈদের পরে এখনও পর্যন্ত যানজট দেখা যায়নি। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস, করটিয়া ও তারটিয়ায় স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। খুব একটা গাড়ির চাপ নেই। বেশিরভাগ সময়ই মহাসড়কগুলো ফাঁকা দেখা যাচ্ছ। তবে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের পাশাপাশি ট্রাক-পিকআপের ছাদেও রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরতে দেখা গেছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম বলেন, ঈদ পরর্বতীতে মহাসড়কে এখন পর্যন্ত কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি । মহাসড়ক এখন প্রায়ই ফাঁকা থাকছে। স্বস্তিতেই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ । তবে শুক্রবার বিকাল কিংবা সন্ধ্যার দিকে ঢাকাগামী যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।
গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ খলিলুর রহমান বলেন, আমার নিয়ন্ত্রণাধীন অংশে কোথাও এখনও পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আছাবুর রহমান বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। আশা করছি কর্মস্থলে ফেরা মানুষ নির্বিঘ্ন যাতায়াত করতে পারবে, যানজটের সৃষ্টি হবে না।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম পিপিএম বলেন, ঈদ পরর্বতী যানজট নিরসনে মহাসড়কে শুক্রবার দুপুর থেকে তিনদিন পুলিশ কাজ করবে। ইতোমধ্যে সড়কে প্রায় সাড়ে ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলেঙ্গাসহ ১০টি স্থানে আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা এবং ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাও খুব ভালো। পুলিশ যানজট নিরসনে যে পরিকল্পনা নিয়েছিল তা বাস্তবে পরিণত হওয়ায় মহাসড়কের কোথাও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়নি।