
কংগ্রেসের দুর্গ বলে পরিচিত উত্তর-পূর্ব ভারতেও বিজেপির আধিপত্য বেড়েই চলেছে। আসামের পর মণিপুরও দখল করতে চলেছে তারা। উত্তর-পূর্ব ভারতের আট রাজ্যের মধ্যে কংগ্রেস এখন শুধু মেঘালয় ও মিজোরামেই। সিপিএম রয়েছে ত্রিপুরায়। এবার সেখান থেকে সিপিএমকে উৎখাত করার ডাক দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
মণিপুরে টানা ১৫ বছর ওকরাম ইবোবি সিংয়ের নেতৃত্বে ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস। তবে এবার তাদের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিধানসভায় সংখ্যার বিচারে একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেয়েছে বিজেপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় সরকার গঠনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপিই। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে তা খুব স্পষ্ট নয়। বেশ কিছু আঞ্চলিক দল এবার সরকার গঠনে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে। তবে বিজেপির পক্ষে এই দল গুলিকে ‘ম্যানেজ করা’ অনেক সহজ হবে বলেই মনে করেন উত্তর-পূর্ব ভারতের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষক সঞ্জীব দেব। তাঁর মতে, এই অঞ্চলের ছোট দলগুলির দিল্লির ক্ষমতাসীন দলের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট থাকাটাই পরম্পরা। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও তার আঁচ পেয়ে দিল্লিতে ঘোষণা করেছেন, মণিপুরেও তাদেরই সরকার হচ্ছে। রবিবার ঘোষিত হতে পারে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম।
নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতকে টার্গেট করেছিল বিজেপি। ৮ রাজ্যের এই অঞ্চলে ২০১৪-র আগে বিজেপির ভাঁড়ার ছিল শূন্য। একমাত্র নাগাল্যান্ডেই ছিল তাদের বন্ধু সরকার। দিল্লি দখলের পর সিকিমের সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে নিজেদের পক্ষে টেনে নেয় বিজেপি ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’। এরপর গত বছর আসাম বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাজ্যটিতে জয় পায় গেরুয়া শিবির। আসাম জয়ে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোটের পাশাপাশি কংগ্রেসকে ভাঙানোর খেলায়ও বেশ সাফল্য পান তাঁরা।