
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শুভেচ্ছা দূত হলেন সায়মা ওয়াজেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) শুভেচ্ছা দূত হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সায়মাকে অটিজম ডিসঅর্ডার বিষয়ে বিশ্বখ্যাত চ্যাম্পিয়ন হিসাবে অভিহিত করে আজ ডাব্লিউএইচও’র এক বিবৃতিতে তাকে দুই বছরের জন্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়।
ডাব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং ডাব্লিউএইচও’র সিদ্ধান্ত ঘোষণাকালে বলেন, ‘অটিজম সনাক্তকরণে সায়মা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্রমাগত যে শ্রম দিচ্ছেন তা প্রশংসনীয়। তাছাড়া তিনি আক্রান্তদের দুর্ভোগ হ্রাসে ও সচেতনতা তৈরিতে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।’
গত এপ্রিলে ভুটানে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অটিজমসহ অন্যান্য নিউরো ডিসঅর্ডারের ওপর থিম্পু ঘোষণা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সায়মা। ওই ঘোষণা স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে কার্যকর সেবা ও অটিজমসহ অন্যান্য নিউরো ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের সহায়তায় জাতীয় সক্ষমতা জোরদার কার্যক্রম অগ্রাধিকারে রেখে সমাজ ও সরকারের ভূমিকার দাবি করা হয়েছে।
পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, শুভেচ্ছা দূত হিসাবে সায়মা থিম্পু ঘোষণার প্রসারেও কাজ করবেন। স্কুল সাইকোলজিস্ট হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে সনদপ্রাপ্ত সায়মাকে এর আগে গত এপ্রিলে ১১টি দেশের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য অটিজম বিষয়ক চ্যাম্পিয়ন হিসাবে নিয়োগ দেয় ডাব্লিউএইচও। এছাড়া গতবছরের মে মাসে তাকে ডাব্লিউএইচও’র অটিজম বিষয়ক আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হিসাবে অভিহিত করা হয়।
অটিজম বিষয়ে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদানের জন্য ডাব্লিউএইচও তাকে ২০১৪ সালের জন্য এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডও দিয়েছে।
ডাব্লিউএইচও’র মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।