
বেলকুচিতে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে শ্রমিকদের প্রতিবাদ মিছিল ও অফিস ভাংচুর
চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে অটোভ্যান শ্রমিকরা এক প্রতিবাদ মিছিল করেছে। রবিবার উপজেলার মুকুন্দগাঁতী কলেজ মোড় থেকে শতাধিক ভ্যান শ্রমিক অটোভ্যান মিছিল নিয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করেন। এরই এক পর্যায়ে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা মুকুন্দগাঁতী বাজারে অবস্থিত রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক অফিস ভাংচুর করে চলে যায়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সংগঠন দেখিয়ে উপজেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু ব্যক্তি এলাকা ভিত্তিক যানবাহন চলাচলের জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষ স্থানগুলোতে অটোভ্যান চালকদের কাছ থেকে রশিদ দিয়ে চাঁদা তুলে আসছে। এর মধ্যে উপজেলার ওয়াপদা রোড, মুকুন্দগাঁতী বাজার, চালা গ্যারেজ ও উপজেলার প্রধান বাসস্ট্যান্ড উল্লেখযোগ্য।
শ্রমিকরা জানান, ভ্যান শ্রমিকরা বছরের পর বছর ধরে চাপের মুখে যত্রতত্র চাঁদা দিয়ে আসছে। এরপরেও মাঝে মধ্যেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া বলেন, ইতি মধ্যে পৌরসভা কর্তৃক বাৎসরিক লাইসেন্স করার জন্য ফরম বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এরই এক পর্যায়ে উপজেলায় শ্রমিক নামধারী কিছু সংখ্যক শ্রমিক কোন রাজনৈতিক মহলের ইন্দনে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক অফিস বন্ধ থাকা সত্বেও অফিস কক্ষে থাকা টিভি ও আসবাবপত্র সহ ভাংচুর করে। সকাল থেকেই শ্রমিকরা পেটের তাগিদে উপজেলার অটোভ্যান শ্রমিকরা মুকুন্দগাঁতী ওয়াপদা বাঁধে নামধারী কিছু শ্রমিক জোড়পুর্বক তাদের গাড়িতে থাকা যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভ্যান গুলি নিয়ে মিছিল শুরু করে। বর্তমানে পৌর মেয়র মহোদয় না থাকার কারণে আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে, আমরা কালো তালিকা ভুক্ত উস্কানী দাতাদের নামের তালিকা তৈরি করে বেলকুচি থানায় সাধারন ডায়রি করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। প্রকৃত অটোভ্যান শ্রমিকরা এ কাজটি করেনি।
পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা যায়, কোনো স্থানে ভ্যান শ্রমিক সংগঠন বা অন্য যে কোনো সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করা যাবে না। ইতোমধ্যেই সকল শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক এসব অবৈধ চাঁদা প্রদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।