
বেলকুচিতে নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতাল এন্ড প্যাথলজি ল্যাবটরিজ চাকুরীরত এক নার্সের ২য় স্বামী ও প্রথম স্ত্রীর সাথে অভিমান করে ৩য় তলায় গলায় রশি দিয়ে ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বিথী বেগম (৩৩)) বেলকুচি উপজেলার পীড়ারচর লক্ষীপুর গ্রামের আঃ বারেকের মেয়ে। আব্দুল বারেক এর মেয়ে বিথী বেগমের সাথে সামাজিক ভাবেই মুকুন্দগাঁতী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র লালচাঁনের সাথে প্রথমে বিয়ে হয় এবং তার প্রথম স্বামীর ঘরে ২ সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।
ঘরে ২ সন্তান রেখে বিথী বেগম মুকুন্দগাঁতী গ্রামের মাহমুদুল হাসানের সাথে প্রেমের টানে ঘরে ২ সন্তান রেখে বিয়ে করে এবং সে বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতাল এন্ড প্যাথলজি ল্যাবটরিজে নার্সের চাকুরী নেয়।
সূত্রে জানা যায়, চাকুরীরত নার্স বিথী বেগমের সাথে তার ২য় স্বামী মাহমুুদুুল হাসান দেখার করার পর আনুমানিক একঘন্টা পর স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একজন নার্স তাকে ডাকতে গেলে ৩য় তলার প্রধান দরজা বন্ধ দেখে রুমের বিপরীত দরজা দিয়ে প্রবেশ করে দেখে বিথী বেগমকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে এবং তার আত্মচিৎকারে চাকুরীরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ লাশ নামিয়ে ফেলে এবং পড়ে বেলকুচি থানা পুলিশকে খবর দেয়।
বেলকুচি থানার এসআই নাজমুল এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার বেলা ১টার দিকে শেরনগর এলাকার বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতাল এন্ড প্যাথলজি ল্যাবটরিজ ৩য় তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালের ভবনের ৩য় তলার একটি কক্ষে ২য় স্বামীর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তিনি। তিনি আরও বলেন, চলতি বছররের ফেব্র“য়ারি মাসে মাহমুদুলের সঙ্গে বীথির দ্বিতীয় বিয়ে হয়। মাহমুদুলের প্রথম পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে প্রায়ই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বীথির কলহ সৃষ্টি হত। “এর জের ধরেই রোববার সকালেও তাদের মধ্যে কথা কাটাকটি হয়। পরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে বীথি আত্মহত্যা করে।”
পারিবারিক কলহের জের ধরেই বীথি বেগম আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান এস আই নাজমুল। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিথী বেগমের পরিবার থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে বেলকুচি থানা পুলিশ।