
বেলকুচিতে বিয়ে পন্ডের পর ধর্ষিতা মেয়ের আত্মহত্যার চেষ্টা
চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাকিকবার ধর্ষন করেছে প্রতিবেশি আব্দুর রহিম নামের এক যুবক। বিয়ের দাবিতে ধর্ষিতা বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ধর্ষকের বাড়ীতে অবস্থান করে। এলাকাবাসী বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যেমে বিয়ে পন্ড হয়ে যায়। বিয়ে না হওয়ায় ধর্ষিত মেয়েটি (১৭) রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ধর্ষক আব্দুর রহিম উপজেলার দৌলতপুর সামান্যপাড়ার আব্দুল ফরিদের ছেলে। মেয়েটি তার প্রতিবেশী।
ধর্ষক রহিম ও মেয়েটির বাড়ী পাশাপাশী হওয়ায় তাদের অবাধে চলাচল ছিলো উভয়ের বাড়ীতে। এই সুযোগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভনে একাদিকবার ধর্ষণ করে রহিম। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ধর্ষিতা মেয়েটি ধর্ষক রহিমের বাড়ীতে দুই দিন অবস্থানের পর শুক্রবার রাতে গ্রাম্য শালিশের মাধেমে উভয়ের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল হাসান ও বেলকুচি থানার (ওসি তদন্ত) লাইছুর রহমান ঘটনাস্থল গিয়ে উভয়ের বয়স কম থাকার কারণে বিয়ে স্থগিত করে দেয়।
ধর্ষিতার মা কান্না জড়িত কন্ঠে জানায়, প্রায় ৪বছর পূর্বে আমার স্বামীর মৃত্যু হয় মৃত্যুর পর অভাবের সংসারে ৬ সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছিল। স্বামী মৃত্যুর পর মেয়েকে অন্যের বাড়ীতে কাজ করতে দেই। সেখান থেকে প্রায় ৬ মাস পূর্বে বাড়ীতে নিয়ে আসি। রহিমের বাড়ী পাশাপাশী হওয়ায় মেয়ে আসার পর যাতায়াত বেশী করতে থাকে। আমার অনুপস্থিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিক বার ধর্ষন করেছে। এলাকার লোকজন উভয়ের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এখন বিয়ে ভেঙ্গে গেছে রহিমের সাথে বিয়ে না হওয়ায় আমার মেয়ে রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সারা রাত জেগে থেকে মেয়েকে পাহাড়া দেই।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল হাসান জানান, মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় এখন বিয়ে দেওয়া সম্ভব না। তাই নতুন আইনে তারা আদালতে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে অথবা তিনশত টাকার ষ্টাম্পে লিখিত করে রাখতে পারে উভয় মিলে।