

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সরকার তাদের দেশের নতুন মানচিত্রে এই প্রথমবারের মতো ভারতের সমগ্র অরুণাচল প্রদেশকে অন্তর্ভুক্ত দেখিয়েছে – যাকে ঘিরে বেইজিং ও দিল্লির মধ্যে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। শুধু অরুণাচলই নয়, ‘আকসাই চিন’ নামে লাদাখ-সংলগ্ন যে ভূখন্ডটিকে ভারত নিজেদের বলে দাবি করে থাকে সেটিও চীনের এই নতুন ম্যাপে জায়গা করে নিয়েছে।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। পাল্টা বার্তায় চীন ভারতকে এ বিষয়ে বেশি না ভাবার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের ওই নব্য প্রকাশিত মানচিত্রের কোনও ‘নির্ভরযোগ্যতা নেই’। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘অযৌক্তিক কথা বলে অন্য কারোর অঞ্চলকে নিজের বলা যায় না। ’
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়ান ওয়েনবিং বলেন, যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে তা ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’। তিনি বলেন, ‘চীনের আইন অনুসারে সার্বভৌমত্বের অনুশীলনে এটি একটি নিয়মিত অনুশীলন (রুটিন প্র্যাকটিস)। আমরা আশা করি প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলো উদ্দেশ্যমূলক এবং শান্ত থাকতে পারে। সমস্যাটির অতিরিক্ত ব্যাখ্যা করা থেকে বিরত থাকতে পারে।’
এই মানচিত্র প্রকাশের কয়েক ঘন্টার ভেতরেই দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মন্তব্য করেছেন, ‘কেউ একটা আজগুবি দাবি করলেই অন্যের ভূখন্ড তার হয়ে যায় না!’
ভারতীয় চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এটিকে চীনের ‘পুরনো একটা বদভ্যাস’ বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
চীনের এই মানচিত্র প্রকাশ করা হল এমন একটি সময়ে, যার দিনচারেক আগেই জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়েছে। এমনকি আগামী সপ্তাহে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে চীনা প্রেসিডেন্টের দিল্লিতে আসারও কথা রয়েছে।
দুদেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত থাকলেও সীমান্তে বা কূটনৈতিক পর্যায়ে যে উত্তেজনা রয়েই গেছে, চীনের নতুন এই ম্যাপকে পর্যবেক্ষকরা তারই সবশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস