
মাহে রমজানের প্রথম দিন
চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ: পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন রবিবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার প্রধান বাজার মুকুন্দগাঁতীতে ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের ইফতার সামগ্রী তৈরি ও পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাদ যায়নি দেশি বিভিন্ন ফলমূলও। অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরমে রোজাদাররা হাঁপিয়ে উঠেছে। ভ্যাপসা গরম ও রোদের প্রখরতা বৃদ্ধির কারণে বেলকুচিতে সকাল থেকেই ছিল রোদ মুখর পরিবেশে। বিকালের অবস্থা কিছুটা হলেও পরিবর্তন দেখা দেয়। প্রতিদিনের জীবনযাত্রার রুটিন বদলে ফেলেছে রোজার প্রথম দিন থেকেই। দিনের বেলায় পানাহার বন্ধ। প্রথম দিনটিতে রোজাদারদের বিকাল ৩টা পর্যন্ত মুসল্লিদের চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় পড়তে হয় এবং ৩টার পর থেকেই আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন থাকাতে রোজদারদের ক্লান্তি কিছু হলেও দুর হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের জন্য ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা দিনের বেলায় পানাহারে বিরত থেকে শুরু করেছেন সিয়াম সাধনা। জাগতিক মোহ, মাৎসর্য, কাম, ক্রোধ, লোভ, লালসা দমন করে আত্মশুদ্ধির এই সাধনা চলবে পুরো রমজান মাসে। দিনে রোজা রাখার পাশাপাশি মুক্ত হস্তে দান খয়রাত ও বেশি বেশি নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই মাসের দিনগুলো অতিবাহিত করবেন মুসল্লিরা।
বরাবরের মতো এবারও রোজার প্রথম দিন থেকেই বদলে গেছে উপজেলার বাজার গুলোর দৃশ্যপট। হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলোর সামনে ছিল পর্দা টাঙানো। উপজেলার প্রধান বাজার মুকুন্দগাঁতীর মিষ্টির দোকান গুলো, মাছ পট্টি, ওয়াপদা বাঁধের সংলগ্ন ফলমুল পট্টি, ঢাকা ব্যাংক রোডের দুধ পট্টিতে সকাল থেকেই ছিল উপচে পড়া ভীড়।
উপজেলার মুকুন্দগাঁতী, চালা, কান্দাপাড়া, কামারপাড়া বাজারে ছোলা, পেঁয়াজু, জিলাপি, ঘোল, টক দই সহ হরেক রকমের মুখরোচক উপকরণ নিয়ে বসে যায় ইফতারির বাজার। বরাবরই মতোই ইফতারির তালিকায় হরেক রকম ভাজা-পোড়ার সঙ্গে ঘটেছে সুস্বাদু ফলের সংযোগ এবং শরবত। দুপুরের পর থেকেই এসব ফলের দোকান ও ইফতারির পসরাগুলোর সামনে ক্রেতার সমাগম ঘটতে থাকে। প্রথম রোজার দিনে রোজাদারেরা চেষ্টা করেছেন বাড়িতে সপরিবারে ইফতার করতে সে কারণে দ্রুত হাতের কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার তাগিদ ছিল উপজেলারবাসীর। তবে এবার প্রথম রমজানে কিছুটা হলেও ভিন্নতা এসেছে। ভাজা পোড়া জাতীয় মুখরোচক খাবার গুলোর ইফতারির তালিকায় বেশী না রেখে ঠান্ডা জাতীয় দেশীয় ফলমুল ও শরবতের সংযোগতা বৃদ্ধি করেছে।