
রাজারহাটে তীব্র যানজটের কারণে ক্রমশই বাড়ছে জনদূর্ভোগ
আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা সদর বাজারে তীব্র যানজট এখন নিত্য দিনের সঙ্গী, ফলে ক্রমশই বাড়ছে জনদূর্ভোগ। সংকীর্ণ সড়কের দু’ধারে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। নেই কোন বাইপাস (ভায়া) সড়ক। নির্ধারীত কোন স্ট্যান্ড না থাকায় অটোরিকসা ও ভ্যান গাড়ির জটলা লেগে থাকে সবসময়। তার উপর মহাসড়কের অনেক যানবাহনও চলছে রাজারহাট উপজেলা শহরের ছোট সড়ক দিয়ে। সবমিলে যানজটের শহরে পরিনত হয়েছে রাজারহাট।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরের দূরত্ব প্রায় ৪৮ কিলোমিটার। কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর যাওয়ার পথে এই মহাসড়কের ২০কিলোমিটারের মধ্যে এবং রংপুর থেকে কুড়িগ্রামের পথে ২৮কিলোমিটার পর রয়েছে তিস্তা বাসস্ট্যান্ড।তিস্তা বাসষ্টান্ড থেকে রাজারহাটের ভিতর দিয়ে কুড়িগ্রামের দুরুত্ব প্রায় ২০কিলোমিটার। পক্ষান্তরে তিস্তা-কাঁঠালবাড়ি দিয়ে মহাসড়কে কুড়িগ্রামের দূরত্ব প্রায় ২৮কিলোমিটার। ৮কিলোমিটার দূরত্ব কম হওয়ার কারনে এবং তিস্তা-রাজারহাটের রাস্তাটি অপ্রশস্ত হলেও রাস্তাটি ভালো থাকায় প্রতিদিন কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের অসংখ্য ভারী যানবাহন চলছে রাজারহাট উপজেলা শহরের ছোট সড়ক দিয়ে। ফলে রাজারহাট বাজার সহ তিস্তা-রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম-রাজারহাট সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, রাজারহাট-কুড়িগ্রাম,রাজারহাট-তিস্তা এবং রাজারহাট-নাজিমখাঁন সড়কে দু’ধারে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে শতশত দোকানপাট। কুড়িগ্রাম সড়ক জনপদ বিভাগ কর্তৃক রাজারহাট বাজারে রাস্তার দু’ধার দিয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ নির্মাণ করা হলেও অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত ড্রেনেজগুলো দিয়ে পানি নিস্কাশন তো হয়ই না বরং পথচারিদের চলাফেরায় সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এই সড়কটির যত্রতত্র,বিশেষ করে রাজারহাট বাজার সহ চারপার্শ্বে অটোরিকসা,ভ্যানের জটলা লেগে থাকে সবসময়। রাজারহাটবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট-কুড়িগ্রাম সড়কের রেলগেট থেকে বাজার পর্যন্ত একটি বাইপাস (ভায়া) রাস্তা নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও তা নির্মাণ হয়নি।
এছাড়া তিস্তা ও রাজারহাট-কুড়িগ্রাম রাস্তাটি ভালো থাকলেও মাত্র ১৭/১৮ফিট প্রস্থের রাস্তার উপর দিয়ে একাধিক যানবাহন ওভারটেকিং চলায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
অপর দিকে রাজারহাট-তিস্তা ও রাজারহাট-কুড়িগ্রাম সড়কে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দিনের বেলা প্রায়ই লোড-আনলোড চলার কারনেও যানজট সৃষ্টি হয়।
যানজট মূক্ত রাজারহাট বাস্তবায়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন,আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও রাজারহাট বাজারের যানজট নিরসনের দাবী জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় তীব্র যানজটে জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বাদশা মিয়া বলেন,মহাসড়কের যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধের পাশাপাশি,বাজারের বাইরে অটো স্ট্যান্ড নির্মাণ করা না হলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে না।
সিনিয়র শিক্ষক মোবাশ্বের আলম লিটন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরী যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে তাসনিম বলেন, রাজারহাট বাজারের তীব্র যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।