
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধীতায় অনড় বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনেস্কো সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে তাদের আপত্তি তুলে নিয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হলেও ওই প্রকল্পের বিরোধিতায় অনড় থাকার কথা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশবিদরা লিখছেন, বলছেন এবং এমনকি ভারতের অনেক পরিবেশবিদরা বলেছেন যে, সুন্দরবনের কাছে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলে সুন্দরবন নষ্ট হবে। পরিবেশ, গাছ, মাছ, পানি ও মানুষ বিপন্ন হবে। আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ-বুদ্ধিজীবী আছেন তারা এই বিষয়ে হুশিয়ার করছেন, আন্দোলন করছেন। বিএনপি সেই আন্দোলনে সমর্থন করেছে। এখন অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা বা অর্গানাইজেশন কে কী বলল, না বলল- এটা দেখার বিষয় নয়। আমরা আজো প্রতিবাদ করি- সুন্দরবনের কাছে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন অন্যায়, অবৈধ ও বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেবার শামিল।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপিইর ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকসহ কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
এতে ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
পোল্যান্ডে চলমান ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪১তম অধিবেশনে রামপাল নিয়ে ইউনেস্কোর আপত্তি তুলে নেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
ইউনেস্কোর আপত্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের প্রতি ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, আমার বাড়িতে আগুন লেগেছে, এই আগুনের তীব্রতা কতটুকু সেটা আমরাই বুঝতে পারব। সেখানে আমি বালতিতে করে পানি ঢালব না দমকল বাহিনী নিয়ে এসে আগুন নেভাবো সেটা আমরা ঠিক করব।
তিনি বলেন, আমার দেশের যারা বুদ্ধিজীবী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ তারা কি লেখাপড়া করেননি; এরা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি, আনু মুহাম্মদ থেকে শুরু করে আরো যারা লিখছেন। এমনকি ভারতেও অনেক পরিবেশবিদ বলছেন যে সুন্দরবনের কাছে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পরে আমাদের সুন্দরবন নষ্ট হবে।
ভারতের অংশেও সুন্দরবন থাকার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী দাবি করেন, সেখানে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে করেনি। শেখ হাসিনার মতো একজন দাসানুদাস, একটি গোলাম সরকারকে দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বসাচ্ছে। কারণ তারা সুন্দরবন নষ্ট করবে, বাংলাদেশের মানুষকে বিপন্ন করবে, আমাদের গাছ মাছ পানিকে বিপন্ন করবে- এই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে।