
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মস্কো তাদের দেশে গুপ্তচর পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে নেদারল্যান্ডস। আর এ কারণে বেশ কজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে নেদারল্যান্ডস সরকার। ডাচ্ সরকার গতকাল শনিবার বলেছে, তারা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে তার কনস্যুলেট বন্ধ করবে; আর হেগে রাশিয়ান দূতাবাসে রাশিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলবে।
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওপকে হোয়েকস্ট্রা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাশিয়া কূটনীতির আড়ালে গোপনে নেদারল্যান্ডসে গোয়েন্দা এজেন্টদের আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এটি করতে দিতে পারি না; আর দেবও না।’
যখন নেদারল্যান্ডস এ বিবৃতি দিচ্ছে, একই সময়ে রাশিয়া সেন্ট পিটার্সবার্গের কনস্যুলেট বা মস্কোর দূতাবাসে কাজ করবেন—এমন ডাচ্ কূটনীতিকদের ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ডাচ্ সরকারের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ডাচ্ সরকার বলেছে, তারা হেগের রাশিয়ান দূতাবাসে কূটনীতিকদের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ পদক্ষেপ এ জন্য নেওয়া হচ্ছে, যাতে মস্কোর ডাচ্ দূতাবাসের কূটনীতিকের সংখ্যার সঙ্গে মিল থাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কিছু কূটনীতিককে দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে হবে।’ তবে দুই সপ্তাহে ঠিক কতজনকে দেশ ছাড়তে হবে, সেই সংখ্যার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি ডাচ্ সরকার।
ডাচ্ সরকার আমস্টারডামে রাশিয়ার বাণিজ্য অফিসকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এসব ঘটনাকে রাশিয়ার সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘সর্বশেষ পরিস্থিতি’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এরপরই রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের অনেক দেশের কূটনৈতিক বিরোধ শুরু হয়, তার মধ্য ডাচ্ সরকার অন্যতম। তখন ১৭ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে আমস্টারডাম। পাল্টা জবাবে মস্কো নেদারল্যান্ডসের ১৫ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।