
নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশের সবকটি নৌ-বন্দর, লঞ্চঘাট এবং খেয়া পারাপারের ৪ শতাধিক ঘাটপয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদাররা অতিরিক্ত টোল আদায় ও যাত্রী হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
এ কারণে জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সদরঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা আছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার-সদাই নিয়ে পারাপার হলে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০/৩০/৫০/১০০ টাকা হারে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ নিয়োজিত ইজারাদার। যদিও এই ঘাটে ইজারাদারের নৌকায় পারাপারের ক্ষেত্রে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের চুক্তি রয়েছে।’
মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দেশের নৌ-পথের যাত্রী পারাপারে এ ধরনের লুটপাট বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিআইডব্লিউটিএ ইজারাকৃত সারাদেশের ৪ শতাধিক নদীবন্দর ও খেয়াঘাটের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টে এ ধরনের হরিলুটের মহোৎসব চলছে।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌপথে যাত্রী হয়রানি, টোল নৈরাজ্য বন্ধে বার বার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের নৈরাজ্য বন্ধে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউটিএ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। যাত্রীরা অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদাররা এলাকার মাস্তান প্রকৃতির উশৃঙ্খল যুবকদের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে যাত্রীদের অনেকেই তাদের চাহিদামত অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে নদী ও ঘাট পারাপার হতে হচ্ছেন। অনেকের দামী মালামাল নদীর পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি মারধরের শিকার হচ্ছেন। এতে অসহায় যাত্রীদের সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়’, যোগ করেন তিনি।
এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।