
সাফাতসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
আদালত প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করলে আগামী ৬ আগস্ট মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
আসামিপক্ষ আদালতকে বলেন, মামলার বিচার শুরুর আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। কিন্তু এখনো মামলার নকল কপি পাননি। যে কারণে তারা আবেদনও করতে পারেননি। এ কারণে তারা সময় চান। আদালত আসামিপক্ষের এই আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। আদালতের পেশকার তানভীর হোসেন জানান, মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী শুনানির আগেই আদালতে হাজির ছিলেন। শুনানির নতুন তারিখ পড়লে তিনি চলে যান।
এই মামলায় ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আর শাফাতের আরেক বন্ধু সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজম এ অভিযোগ গঠন করে ২৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকাজ চলবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে নারী বা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে আদালত অর্থদণ্ডও করতে পারবেন। আর অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে অপরাধ সংগঠনে সহায়তা করেন, তা হলে অপরাধ সংঘটনের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, প্ররোচনাকারীও এই একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর এ ব্যাপারে বনানী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে বাদীকে পুলিশ হয়রানি করে। পরে গত ৬ মে শাফাত, নাঈমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। পাঁচ আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।