
সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ-জনজীবন অতিষ্ঠ
জাগ্রতবাংলা ২৪ ডটকম: ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ, অন্যদিকে বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। সকাল ১০টা থেকেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা মিশে ভ্যাপসা গরম আরও বাড়িয়ে তুলছে। ফলে ক্রমেই জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছে সবাই। জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, যশোর, খুলনা সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এদিকে তীব্র গরমের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই অস্থির হয়ে উঠেছে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের জনজীবন। সারাদেশের মানুষ প্রচন্ড-গরমের কারণে বৃষ্টির প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছেন ক্ষণে ক্ষণে। গরমের সঙ্গে যোগ হয়েছে লোডশেডিং। বিশেষ করে জেলার গ্রাম এলাকার মানুষ এই গরমের সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। গরমে হাপিয়ে উঠছে মানুষ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে রোদের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রচন্ড- গরম থেকে মুক্তির জন্য নানা উপায় অবলম্বন করছেন মানুষ। বিশেষ প্রয়োজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যাদের অফিস আদালতের প্রয়োজনে বের হচ্ছেন তাদের যন্ত্রণাটাও চরমে উঠছে। ঘামের গলদে একাকার হয়ে পড়ছে। কেউ আবার গরমের যান্ত্রিক জীবনের একটু শান্তির আশায় ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান করছেন। প্রচন্ড গরমের কারণে ডাবের পানি, ফলের জুস খেয়েই শান্তির পরশ খুঁজছেন অনেকে। তীব্র দাবদাহে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার পাশবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাগুলোর চার্জ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দিনের মধ্য ভাগে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল কমে যাচ্ছে অনেক। রাস্তায় যানচলাচল কম থাকায় আঞ্চলিকরাস্তাগুলোতে যাত্রীদের পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। রিক্সাওয়ালা গরমের মধ্যে যাত্রী পরিবহনে হাঁফিয়ে উঠছে। গরমের কারণে গন্তব্যস্থানে যেতে চাচ্ছে না রিক্সা ও সিএনজি। ফলে জনগণের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত এই গরমের কারণে বেশি সমস্যায় পড়ছে শিশুরা। ভ্যাপসা গরমের কারণে রাতে ঘুমাতে কষ্ট হচ্ছে। বারবার ঘেমে যাওয়ার কারণে অনেকে আবার সর্দি-কাশি এবং ঘামাচিতে আক্রান্ত হচ্ছে। মেডিকেল অফিসারবৃন্দ জানিয়েছেন এই অবস্থায় শিশুদের হাম, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গরমে হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তারা জানান অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে লবণ চলে যাচ্ছে। তাই সব বয়সী মানুষের উচিত বেশি বেশি পানি ও স্যালাইন পান করা। সকাল নয়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত ঘরের বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তারা। একই সঙ্গে শাক-সবজি ও ফলমূল বেশি খেতে হবে।
উল্লেখ্য, এবারের এপ্রিল-মে মাসের বৃষ্টিপাত প্রায় ৪০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। তেমনি মে মাসেও অতিরিক্ত তাপদাহ কোন এক সময়ের রেকর্ডকে ভঙ্গ করতে চলেছে।
সিকেএ / জাগ্রতবাংলা