
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি বৃহস্পতিবার (২ মে) মধ্যরাতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার সময় সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা পুলিশ সদস্য ছাড়া ওই স্থানে কর্তৃপক্ষের কোন দেখা মেলেনি। ।
ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নাকি অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে-এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভাস্কর্যটি সরানোর খবর পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সামনে চলে আসেন এর ভাস্কর মৃণাল হক। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মৃণাল হক সাংবাদিকদের বলেন, এরপর নির্দেশ আসবে, ‘অপরাজেয় বাংলা’ ভাঙা হোক, ‘রাজু ভাস্কর্য’ ভাঙা হোক, ‘ঘোড়ার গাড়ি’ ভাঙা হোক…. মাফ চাই। আমি কিছু বলতে চাই না। আমার হাত-পা বাঁধা।
সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা এই ভাস্কর্য নিয়ে দেশে ইসলামিক দলগুলো সময় সময়ে নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার বা অন্য কোন কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে বহুবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদ জানান এবং সড়ক অবরোধ করেন।
শ্রমিকরা যখন ভাস্কর্যটি ভাঙার কাজ করছিল তখন সেখানে উপস্থিত ভাস্কর মৃণাল হককে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা তার প্রতিক্রিয়ার জন্য ঘিরে ধরেন। মৃণাল হক কথা বলতে গিয়ে তিনি কিছুক্ষণ দুই হাত দিয়ে চোখ মোছেন। একপর্যায়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ‘এখানে কিছু বলার নাই’।
ভাস্কর্যটির কি হবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুনেছি অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের সামনে সরানো হতে পারে। তিনি বলেন, এরপর হয়তো সারাদেশের ভাস্কর্য সরানোর দাবি উঠবে।
উল্লেখ্য, ৬ মাস পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের সামনে রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল।