
সেতুর দাবীতে হাজার মানুষের কান্না : এলাকাবাসীর মানববন্ধন
চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ : বেলকুচিতে একটি হুরা সাগর নদীর উপর দিয়ে সেতুর জন্য হাজারো মানুষের কান্না। এ কান্না থামবে কবে? মাত্র একটি সেতুর অভাবে ৮ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। এক বছর পূর্বে ৮টি গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে একটি বাঁশের সেতু নির্মান করেছিল। এ বছর তা ভেঙ্গেগিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সরকারী বরাদ্দে একটি সেতুর দাবীতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তিরাহী সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে ও এ্যাকশন এইডের সহযোগীতায় ৮টি গ্রামের মানুষ সেতু সংলগ্ন মানববন্ধন করেছে। স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার ও হাসপাতালের সাথে যোগাযোগের জন্য নির্ভর করতে হয় একটি নৌকার উপর। সন্ধ্যার পর পাওয়া যায়না নৌকার মাঝিকে। যুগ যুগ ধরে এই সব গ্রামের মানুষ গুলোর যোগাযোগ ভোগান্তির যেন দেখার কেউ নেই।
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের জোকনালা ও চর জোকনালা গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে হুরাসাগর নদী। আর এ নদীর চর জোকনালা গ্রামের ত্রি-মোহনি নৌকা ঘাট দিয়েই পারা পার হতে হয় চর জোকনালা, ভুতিয়াপারা, ক্ষিদ্র জোকনালা, শেলবরিশা, গোবিন্দপুর, খাস সোনামুখী, সগুনা ও পার সগুনা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। শহরের সিংহ ভাগ কাঁচা সবজি ও দুধের জোগান হয় এই অঞ্চল থেকেই। স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার ও হাসপাতাল সহ সবকিছুই নদীর পূর্ব পারে হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষদের কাঁচা রাস্তায় পায়ে হেটে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় নৌকা পারা পারের জন্য। বেশী সমস্যা হয় রোগীদের নিয়ে। রাত হলের পাওয়া যায়না নৌকার মাঝিকে। যে কারনে এই ডিজিটাল যুগের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে এ অঞ্চলের মানুষ গুলো একটি সেতুর অভাবে।
শনিবার বিকালে মানববন্ধন অনুষ্ঠানের পুর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মেয়ারম্যান খন্দকার গাজী ফজলুল হক ভাষানীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ একেএম ইউসুফজী খান, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ গাজী সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান, সমাজ সেবক আবুল কাশেম মাষ্টার, ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুব সমাজের সদস্য সোনিয়া আকন্দ, শামীম হোসেন প্রমুখ।
এলাকাবাসী অনেকেই জানায়, নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেয় নির্বাচিত হলে এই ত্রি-মোহনিতে ব্রিজ করে দেব। নির্বাচনের পর সব ভুলে যায়। এছারা আমরা শুনেছি দুই বার এই ত্রি-মোহনিতে ব্রীজ বরাদ্দ হয়েছিল। কোন অদৃশ্য শক্তির কারনে তা বাতিল হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।