
হেফাজতের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সমঝোতা হয়নি: ড. রাজ্জাক
অনলাইন ডেস্ক: অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সমঝোতা হয়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোন ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সাথে আপোষ করে না, কখনো করবেও না। দেশের উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমন্বিত রাখতে আওয়ামী লীগকে বর্তমানে নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে কৌশল অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে।
‘সংকটের আবর্তে শিক্ষা ও সংস্কৃতি : গতিপ্রবণতা ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)। এতে সভাপতিত্ব করেন বাশিস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। আরো বক্তৃতা করেন বাকবিশিস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, বিশ্ব শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মাহফুজা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এমএম আকাশ, বাশিস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষক নেতা ও প্রাবন্ধিক কানাই দাশ।
হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালের ৫ মে’র নাশকতা ও তান্ডবের কথা উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, ওই সময় শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের জন্য একদিকে বিএনপি নেতা বেগম জিয়া তার দলের নেতাকর্মীদের হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন, অন্যদিকে স্বৈরাচার এরশাদ ঠান্ডা পানি ও খাবার বিতরণ করে তাদের শাপলা চত্বরে অবস্থানের মদদ দিতে থাকে। তখন হেফাজত সংকট থেকে উত্তরণের পথ কিন্তু শেখ হাসিনাকেই খুঁেজ বের করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের কল্যাণে ধর্মান্ধ ওই অপশক্তিতে প্রতিহত করতে কোন সুভাকাঙ্খি, কোন রাজনৈতিক দল বা সুশিল সমাজ এগিয়ে আসেনি।
শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির এ সভাপতি বলেন, প্রতি বিষয়ের উপর এমসিকিউ’তে ৩০ বা ৪০ নম্বর থাকলে শিক্ষার মান আর কিভাবে থাকে? এ পদ্ধতির পরিবর্তনের কথা ভাবতে হবে। তবে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদেরই বড় ভূমিকা পালন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে শিক্ষকদের গণআন্দোলন বা জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। প্রয়োজনে প্রাথমিক স্তর থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের সব ক্ষেত্রে বিসিএস এর মতো কঠোর কোন পদ্ধতি আরোপ করতে হবে। শিক্ষকদের নানা বেতন-ভাতার প্রেক্ষিতে তিনি তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়াগুলো নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরার আশ্বাস দেন।